বিশ্বব্যাপী এখন আতঙ্কের একটাই নাম করোনাভাইরাস। এই ভাইরাসের বিষাক্ত ছোবলে ইতোমধ্যে (সোমবার সকাল পৌনে ১০টা পর্যন্ত) বিশ্বব্যাপী আক্রান্ত হয়েছে ৩৫ লাখ ৬৬ হাজার ২ শতাধিক মানুষ। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৪৮ হাজার ২৮৬ জনের। প্রতি মুহূর্তে এই তালিকায় যোগ হচ্ছে নতুন আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা।
এই পরিস্থিতিতে বিশ্বব্যাপী কিছু দেশে করোনা রোগীর সংখ্যা রেকর্ড হারে বাড়ছে। আবার কিছু দেশে কমছেও। ভিয়েতনাম, নিউজিল্যান্ডের মতো কয়েকটি দেশে আবার টানা কয়েক সপ্তাহ ধরে নতুন আক্রান্ত রোগী নেই।
করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে ‘সবচেয়ে সফল’ দেশ ভিয়েতনাম। দেশটিতে টানা ১৮ দিন স্থানীয় কেউ আক্রান্ত হননি। তবে সেদেশে থাকা বিদেশি কিংবা অন্য দেশ থেকে ফেরা কয়েকজনের আক্রান্ত হওয়ার খবর মাঝে মাঝে পাওয়া যাচ্ছে।
ভিয়েতনামের ‘ন্যাশনাল স্টেরিং কমিটি ফর কোভিড-১৯ প্রিভেনশন অ্যান্ড কন্ট্রোল’ জানিয়েছে, সর্বশেষ এক ব্রিটিশ নাগরিককে আক্রান্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। এ নিয়ে দেশটিতে মোট ২৭১ জন এই রোগে পজিটিভ হলেন। তার মধ্যে ২১৯ জনই সেরে উঠেছেন। কোনও মৃত্যু নেই।
সোমবার স্থানীয় রোগী পাওয়া যায়নি নিউজিল্যান্ডেও। সেই মার্চের মাঝামাঝি সময়ের পর থেকে দেশটিতে এই প্রথম স্থানীয় রোগী শূন্যে নামল। কোভিড-১৯ রোগে কোনও মৃত্যুও গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে হয়নি।
নিউজিল্যান্ডে এখন পর্যন্ত করোনা রোগী পাওয়া গেছে মোট ১ হাজার ১৩৭ জন। মারা গেছেন ২০ জন। জীবিতদের মধ্যে ৮৬ শতাংশই এখন সুস্থ।
চীন জানিয়েছে স্থানীয় রোগী নেই তাদের দেশেও। তবে অন্য দেশ থেকে ফেরা কিংবা বিদেশিদের মধ্যে তিন জন আক্রান্ত হয়েছেন।
গত ডিসেম্বরে এই চীন থেকেই ভাইরাসটি প্রথম মানুষের শরীরে আসে। দেশটির হেলথ কমিশনের দাবি অনুযায়ী, সেখানে এখন পর্যন্ত ৮২ হাজার ৮৮০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় কোনও মৃত্যু নেই। আগের হিসাব অনুযায়ী মারা গেছেন ৪ হাজার ৬৩৩ জন, যাদের অধিকাংশ উহানের।
দক্ষিণ কোরিয়াও দারুণভাবে করোনা নিয়ন্ত্রণে রেখেছে। তাদের দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় যে ১২ জন আক্রান্ত হয়েছেন সবাই বিদেশি অথবা বিদেশ থেকে ফিরেছেন।
দক্ষিণ কোরিয়ায় এই নিয়ে টানা ১৭ দিন নতুন রোগী ‘নিয়ন্ত্রণে’।
সর্বশেষ দুজনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে এখন মোট সংখ্যা ২৫২। মোট আক্রান্ত ১০ হাজার ৮০১। ৯ হাজার ২১৭ জনই সুস্থ।
ভিয়েতনাম, দক্ষিণ কোরিয়ায় রোগটি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যু ফের দুই হাজার ছাড়িয়ে গেছে। রাশিয়া একদিনেই দেখেছে ১০ হাজারের বেশি নতুন রোগী।
বিডি প্রতিদিন/কালাম