এক সময় তাঁকে ভাবা হতো ভারতীয় ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ। কিশোর বয়সে শতরানের ইনিংস, দুর্দান্ত স্ট্রোকপ্লে; সব মিলিয়ে পৃথ্বী শ-কে ঘিরে প্রত্যাশার পারদ ছিল তুঙ্গে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে তাল মেলাতে না পারা, ভুল সিদ্ধান্ত আর সঙ্গ বেছে নেওয়ার মূল্য গুনতে হয়েছে তাঁকে। সদ্য এক সাক্ষাৎকারে নিজের কেরিয়ারের পতন নিয়ে অকপটে মুখ খুললেন পৃথ্বী। জানালেন, 'ভুল মানুষকে বন্ধু বানিয়েছিলাম, ভুল পথে হেঁটেছিলাম।'
২০২৩ সালের আগেও দিনে অন্তত ৮ ঘণ্টা মাঠে সময় দিতেন তিনি। নিয়মিত অনুশীলন আর পারফরম্যান্সেই উঠে এসেছিলেন জাতীয় দলের দরজায়। কিন্তু এরপর থেকেই বদলে যেতে থাকে সব। পৃথ্বীর কথায়, 'কিছু ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। ক্রিকেটের বাইরে অন্য দিকে মন যাচ্ছিল। আমি তখন শীর্ষ ফর্মে ছিলাম। সেই সময় ভুল কিছু মানুষের সঙ্গে মিশে যাই। ওরা আমাকে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যেত, যার প্রভাব পড়তে থাকে আমার ফিটনেস ও পারফরম্যান্সে। মাঠে সময় কমে দাঁড়ায় ৪ ঘণ্টায়।'
জীবনের এই কঠিন সময়ে পাশে ছিলেন তাঁর বাবা, সে কথাও বলেন পৃথ্বী। ব্যক্তিগত জীবনে এই কঠিন পর্বে জাতীয় দলের সতীর্থ ঋষভ পন্থও তাঁকে উৎসাহ দিয়ে গেছেন, জানান তিনি।
ফিটনেস লেভেল কমে যাওয়ার জন্য নিজেকেই দায়ী করছেন পৃথ্বী। খাদ্যাভ্যাসে নিয়ন্ত্রণের অভাবই যে অন্যতম কারণ, তা মেনে নিচ্ছেন তিনি। 'আমি খেতে খুব ভালোবাসি। জাঙ্ক ফুড নয়, কিন্তু একসঙ্গে অনেকটা খেয়ে তারপর ঘুমিয়ে পড়তাম। কয়েকদিন ট্রেনিং না করলেই ওজন বেড়ে যেত,' বলেন তিনি।
আইপিএলে দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে ৭ বছর খেলার পর ২০২৫-এর আসরে কোনও দলই তাঁকে নেয়নি। ৭৫ লাখ টাকার বেস প্রাইসে থেকেও নিলামে অবিক্রীত থেকে যান তিনি। তবু হাল ছাড়ছেন না পৃথ্বী। আবারও ফিরে আসার স্বপ্ন দেখছেন, এবার মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে খেলার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন,'আমি মুম্বাইয়ের ক্রিকেটার, তাই সুযোগ পেলে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়েই খেলতে চাই।'
বিডি প্রতিদিন/মুসা