করোনাভাইরাসের টিকা সারাবিশ্বের জনগণকে দেওয়ার বৈশ্বিক উদ্যোগ কোভ্যাক্স। বিশেষ করে মধ্যম ও নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে করোনা টিকা নিশ্চিত করা এই উদ্যোগের লক্ষ্য। এ লক্ষ্যে চীন পাকিস্তানকে পাঁচ লাখ ডোজ সিনোফার্ম করোনা টিকা উপহার হিসেবে পাঠিয়েছে।
চীনের তৈরি টিকা দিয়ে দেশব্যাপী টিকাদান শুরু করার একদিন পর পাকিস্তানের দাবি, 'চীনের রাষ্ট্রীয় ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান সিনোফার্মের তৈরি করোনাভাইরাসের টিকা ৬০ বছরের বেশি বয়সীদের ক্ষেত্রে কার্যকর নয়'।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্য বিষয়ক বিশেষ সহকারী ড. ফয়সাল সুলতান সাংবাদিকদের বলেছেন, 'বিশেষজ্ঞদের একটি দল টিকা প্রাথমিকভাবে বিশ্লেষণের তথ্য বিবেচনা করে কেবল ১৮-৬০ বছর বয়সীদের জন্য এই টিকা দেওয়ার সুপারিশ করেছে। ৬০ বছরের বেশি বয়সীদের জন্য সিনোফার্ম-এর তৈরি টিকা দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি। এ ব্যাপারে আরো তথ্য পাওয়ার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, টিকাটি ৬০ বছরের বেশি বয়সীদের দেওয়ার ব্যাপারে'।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ইসলামাবাদে টিকাদান কর্মসূচি উদ্বোধনের একদিন পর দেশব্যাপী টিকা দেওয়া শুরু হয়। ইমরান খান বলেন, 'প্রথমে সম্মুখসারির স্বাস্থ্যকর্মীদের টিকা দেওয়া হবে। এরপর বয়স্কদের টিকা দেওয়া হবে। তারপর অন্যরা টিকা পাবেন'। তবে, করোনাভাইরাস মহামারি থেকে সুরক্ষা পাওয়ার জন্য সে দেশের ষাটোর্ধ্ব মানুষদের অন্য কোনো টিকা পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
পাকিস্তানে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছে ৫ লাখ ৬০ হাজার তিনশ ৬৩ জন এবং মারা গেছে ১২ হাজার ২১৮ জন। বর্তমানে ২৯ হাজার ৯৮১ জন আক্রান্ত অবস্থায় রয়েছে। এর মধ্যে গুরুতর অবস্থায় রয়েছে ১ হাজার সাতশ ৪৩ জন।
পাকিস্তান করোনাভাইরাসের তিনটি টিকা অনুমোদন দিয়েছে। সেগুলো হলো- চীনের সিনোফার্ম, রাশিয়ার স্পুটনিক ভি এবং অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড টিকা।
অন্যদিকে, চীনের দাবি করেছে, 'বর্তমানে ১৬টি টিকা পরীক্ষা করছে তারা। যদিও দেশটি বর্তমানে সিনোফার্ম-এর তৈরি টিকা শর্তসাপেক্ষে অনুমোদন দিয়েছে। পাকিস্তানসহ স্বল্প সংখ্যক দেশে এই টিকা সরবরাহ করা হয়েছে'।
সূত্র: ইকোনমিকস টাইমস
বি ডি প্রতিদিন/ অন্তরা কবির