কুড়িগ্রামে শুরু থেকে কম হলেও এখন প্রতিদিনই করোনার ভ্যাকসিন গ্রহীতার সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। কোভিড-১৯ সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশব্যাপী শুরু হওয়া ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রমের গতকাল বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ছিল ৫ম দিন। এতে দেখা গেছে গত ৭ ফেব্রুয়ারি করোনাত ভ্যাকসিন প্রদান শুরু হলে তেমন সাড়া পাওয়া যায়নি এ জেলার ভ্যাকসিন গ্রহণ করা মানুষের।
পরে ৫ম দিনে তা বেড়ে ৫ গুণ হয়েছে বলে জেলা স্বাস্থ্যবিভাগ জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার জেলার ৯টি বুথে প্রায় সহস্রাধিক মানুষ ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন যা প্রথম দিনের তুলানায় পাঁচ গুণেরও বেশি। পাশাপাশি বুথগুলোতে ভ্যাকসিন প্রদানে সমন্বয়ের কারণে ভ্যাকসিনের ডোজ অপচয়ের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে বলে সিভিল সার্জন সূত্রে জানা যায়।
জেলার জেনারেল হাসপাতালে সদর উপজেলার জন্য স্থাপিত বুথে দেখা যায়, সেখানে নিবন্ধনধারী এসএমএস পাওয়া গ্রহীতাদের ভ্যাকসিন দেওয়ার পাশাপাশি স্পট রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমেও ভ্যাকসিন প্রদান করা হয়। সেখানে স্পট রেজিস্ট্রেশন এবং বয়সের সীমা ৪০ থেকে শুরু করার সিদ্ধান্তে গ্রহীতার সংখ্যা বাড়ে। ফলে এদিন চাপ সামাল দিতে বুথে স্বাস্থ্য বিভাগ দু'টি টিমে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করে। তবে ভ্যাকসিন গ্রহীতার সংখ্যা বাড়ার সাথে সাথে স্বাস্থ্য বিভাগের সমন্বয়ের কারণে বুথগুলোতে টিকার ডোজের অপচয় কমতে থাকে।
তবে ডোজ অপচয়ের ব্যাপারে জানা যায়, গত বুধবার প্রথম দিন জেলার সাতটি বুথে ৭টি ভায়ালে অপচয় হয়েছে ১৮ ডোজ। দ্বিতীয় দিনে ছয়টি বুথে ৬টি ভায়ালে অপচয় হয়েছে ১৮ ডোজ। তৃতীয় দিনেও ৬ টি বুথে ছয়টি ভায়ালে ১৭ ডোজ টিকা অপচয় হয়েছে। তবে চতুর্থ দিন ১৭ ডোজ টিকার অপচয় হলেও এদিন মাত্র তিনটি ৪টি ভায়ালে এ অপচয় হয়েছে। বাকি ছয়টি বুথে ভ্যাকসিনের কোনও ডোজ অপচয় হয়নি।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বয়সের সীমা কমানো এবং স্পট রেজিস্ট্রেশনের সিদ্ধান্তের কারণে বুথগুলোতে ভ্যাকসিন গ্রহীতার সংখ্যাও বেড়ে যায়। একই সাথে বুথগুলোতে সমন্বয়ের কারণে ভ্যাকসিনের ডোজ অপচয় তুলনামূলকভাবে কমে আসছে।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা স্বাস্থ্য প.প কর্মকর্তা ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, ভ্যাকসিনের ডোজ অপচয় রোধে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। স্পট রেজিস্ট্রেশনের সিদ্ধান্ত বন্ধ থাকলেও আমরা দুরের ও চরের মানুষের কথা বিবেচনায় এনে যারা আগে রেজিস্ট্রেশন করেছেন তাদের শনিবার থেকে দেব।
সিভিল সার্জন ডা. হাবিবুর রহমান জানান, আমরা প্রথম থেকেই টিকা ডোজের অপচয় রোধে সতর্কতা অবলম্বন করছি। তাছাড়া ওপর থেকেও নির্দেশ রয়েছে। তবে মানুষের উপস্থিতি কম থাকায় কিছু ডোজ অপচয় হয়েছে। এমনিতে অন্যান্য টিকার ক্ষেত্রেও এরকম ডোজ অপচয় হয় বলে জানান তিনি।
বিডি-প্রতিদিন/সিফাত আব্দুল্লাহ