বাংলাদেশে সরকারের হাতে থাকা টিকার মজুত কমে আসছে। অবস্থা এখন এমন যে, হিসাব অনুযায়ী দ্বিতীয় ডোজের মজুত খরচ করে প্রথম ডোজ চালু রাখতে হচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
যদিও করোনার (কোভিড-১৯) টিকার ট্রায়াল, আমদানি বা উৎপাদন নিয়ে শুরুর দিকে যত তোড়জোড় ছিল, তা অনেকাংশেই স্থবির গেছে। প্রায় দেড় মাস ধরে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে টিকা আসা বন্ধ। কোভ্যাক্স থেকে টিকা কবে আসবে তার ঠিক নেই।
ইতোমধ্যে বলা হয়েছিল, দেশে টিকা উৎপাদন করা হবে। কিন্তু পরে আর এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ দেখা যায়নি।
গত ১৮ মার্চ ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালসের টিকার প্লান্ট পরিদর্শন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। কোম্পানিটি বিদেশি একটি প্রতিষ্ঠানের উদ্ভাবন করা টিকা উৎপাদনের বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। যদিও এর আগে আরও একাধিক কোম্পানি দেশে টিকা উৎপাদন করার তোড়জোড় শুরু করেছিল। দেশীয় প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেকের উদ্ভাবনপ্রক্রিয়ায় থাকা বঙ্গভ্যাক্স টিকার ট্রায়ালের কোনো আশাব্যঞ্জক খবর মিলছে না।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগামী ৭ এপ্রিল থেকে দ্বিতীয় ডোজ শুরু হবে। এর মধ্যে টিকার একাধিক চালান আসবে বলে কথা ছিল। কিন্তু আসেনি। এখন যদি আগামী দুই মাসেও কোনো কারণে টিকা না আসে, তবে বড় বিশৃঙ্খলা দেখা দিবে। কারণ, এখনই দ্বিতীয় ডোজের মজুত খরচ করে প্রথম ডোজ চালু রাখা হচ্ছে। এটা ঠিক হচ্ছে না। এ ছাড়া অন্য নতুন কোনো টিকা আনার মাধ্যমও বের করতে পারছে না সরকার।
তবে এ বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘টিকাদান কার্যক্রম চলমান আছে। যতটা সম্ভব দ্রুত সময়ে বাকি টিকা আনতে যোগাযোগ চলছে।’
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ