ঢাকায় শেষ হল 'ট্রান্সমিটিং গ্লোবাল নলেজ ফর প্রোমোটিং ক্রপ ইন্সুরেন্স ইন বাংলাদেশ' শীর্ষক ২ দিন ব্যাপী আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠান। ২৬-২৭ ফেব্রুয়ারি ব্যাপী এ অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা ছিল গ্রীন ডেল্টা ইনস্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড এর অঙ্গ সংস্থা প্রফেশনাল এডভান্সম্যান্ট বাংলাদেশ লিমিটেড (পিএবিএল) এবং ইনস্যুরেন্স ফাউন্ডেশন অফ ইন্ডিয়া (আইএফআই)।
অনুষ্ঠানে শস্য বীমা বিষয়ক বেশ কয়েকজন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ আলোচনা করেন। তারা হলেন সুইজারল্যান্ডের ডঃ ওলেনা সোসেংকো; ভারতের ডঃ অজয় বার্মা, মাকারান্দ কুলকার্নি, সুরেশ কুমার শেঠি এবং বাংলাদেশের আলী তারেক পারভেজ (চার্টার্ড ইন্স্যুরার, ইউকে)। অনুষ্ঠানের সার্বিক সহযোগিতায় ছিলো গ্রীন ডেল্টা ইন্সুরেন্স, আর্থগ্রাম, স্কাইমেট ওয়েদার, বিএফপি-বি চ্যালেঞ্জ ফান্ড এবং জিডি এসিস্ট।
অনুষ্ঠান শুরু হয় সহযোগী সংস্থাগুলোর বিভিন্ন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও প্রতিনিধিদের আলোচনার মধ্য দিয়ে। এদের মধ্যে ছিলেন ফারজানা চৌধুরী - এমডি, সিইও, গ্রীন ডেল্টা ইন্সুরেন্স; নাসির এ চৌধুরী - উপদেষ্টা ও প্রতিষ্ঠাকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক, গ্রীন ডেল্টা ইন্সুরেন্স; গোকুল চন্দ্র দাস – ইন্সুরেন্স ডেভেলপমেন্ট অথরিটি অফ বাংলাদেশ – এর সদস্য।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি ছিল্নে ফয়সাল হোসেইন- টিম লিডার, বিএফপি-বি চ্যালেঞ্জ ফান্ড এবং প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শফিকুর রহমান পাটোয়ারী – চেয়ারম্যান, আইডিআরএ। তিনি বলেন, শস্য বীমা সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করার জন্য এবং এই নীতিমালা প্রণয়নের মাধ্যমে এ শিল্পকে আরো বর্ধিত ও নিয়ন্ত্রিত করার লক্ষ্যে আইডিআরএ ইতোমধ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া শুরু করেছে। তিনি পূর্বে পরিচালিত শস্য বীমার পাইলট প্রকল্পের বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার কথা উল্লেখ করেন এবং ডিজিটাল আবহাওয়া তথ্য ব্যবহার করে পুরো বাংলাদেশ জুড়ে যেকোন মৌসুমে যেকোন শস্যের ক্ষেত্রে কৃষকদেরকে এ বীমার আওতায় নিয়ে আসার জন্য গ্রীন ডেল্টার পরিচালিত কর্মকাণ্ডের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
আন্তর্জাতিক প্রতিনিধিদলের পাশাপাশি শস্য অর্থায়ন ও শস্য বীমার সাথে যুক্ত বিভিন্ন ব্যাংক, ইন্সুরেন্স কোম্পানী ও উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিরা উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটির মূল লক্ষ্য ছিলো বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ও জ্ঞানের সাথে স্থানীয় প্রতিনিধিদের পরিচয় করিয়ে দেয়া, এবং বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে শস্য বীমার প্রয়োজনীয়তাকে তুলে ধরা।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা