করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ মোকাবিলা করতে সারাদেশ জুড়ে চলছে লকডাউন। সরকারের দেয়া হোম কোয়ারেন্টাইনে অংশগ্রহণ করছে দেশের সকল শ্রেণির লোকজন। দেশের এই অবস্থায়ও নেই খাদ্যের কোনো ঘাটতি, সকলের ঘরে পৌঁছে যাচ্ছে চাল।
বাংলাদেশের মানুষের প্রধান খাদ্য ভাত, তাই আমাদের দেশে ধান উৎপাদন খুবই জরুরী। উৎপাদনের এই ধারা অব্যাহত নিশ্চিত রাখতে দেশের সকল কৃষকদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন কৃষিমন্ত্রী ডাঃ মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক এমপি। তিনি গত ২১ এপ্রিল নেত্রকোনার মদন উপজেলার খালিয়াজুরী হাওড়ে এলাকায় ধান কাটা পরিদর্শন করেন।
সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণার পরপরই দেশের কৃষিখাতের যন্ত্রাংশ আধুনিকায়নে ২০০ কোটি টাকা ভর্তুকি নিশ্চিত করেন তিনি। দেশে এখন ধান কাটার মৌসুম চলছে। আগে হাওড় অ লের ধান কাটতে এক থেকে দেড় মাস লেগে যেতো, প্রয়োজন হতো অনেক লোক আর সময়ের অভাবে অনেক ধান পচে নষ্টও হয়ে যেতো। ফলে ধান কাটার মৌসুম শেষে দেখা দিতো খাদ্য ঘাটতি।
কিন্তু দেশে কৃষি যন্ত্রাংশ আধুনিকায়নের পরে ধান কাটা নিয়ে স্বস্তি এসেছে। এইসব যন্ত্রাংশ দিয়ে ১০০-১৫০ লোকের কাজ একাই এবং খুবই কম সময়ে করা যায়। তাই ধান নষ্ট হবার এবং সর্বশেষে খাদ্য কাটতির কোনো আশংকা নেই। ধানকাটার এই মৌসুমে কৃষকদের এইসব সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে করোনার ঝুঁকি উপেক্ষা করে জেলায় জেলায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন তিনি।
এখন ধান কাটা না হলে ভবিষ্যতে দেশ মারাত্মক খাদ্য ঘাটতিতে পড়বে। ধান কাটা পরিদর্শনের এককালে নেত্রকোনার মদন, খালিয়াজুড়ি হাওড়ে যান তিনি। এই সময় কৃষকদের পাশে তিনি দিশারি হয়ে না দাঁড়ালে ভেঙ্গে পড়তেন অনেকেই, দেশ দাঁড়াতো মারাত্মক এক পরিস্থিতির সম্মুখীনে। আজকের এই যোদ্ধা ১৯৭১ সালেও দেশের জন্য শত্রুদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন। একজন মুক্তিযোদ্ধা বলেই হয়তো যেকোনও দৃশ্য বা অদৃশ্য শত্রুর বিরুদ্ধে যেকোনো মূলে মোকাবিলা করতে প্রস্তুত তিনি।
বিডি প্রতিদিন/সিফাত আব্দুল্লাহ