করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের ফলে সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্ব অর্থনীতি বেশ সঙ্কটাপন্ন মুহূর্তের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বব্যাপী এই মহামারীর কারণে আজ বাংলাদেশকেও গুরুতর চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। তবুও অর্থনীতিকে কার্যকর রাখতে বর্তমানে ব্যাংকগুলি খুব সীমিত আকারে হলেও লকডাউনের মাঝেই গ্রাহকদের সেবা প্রদান করে যাচ্ছে। বলা বাহুল্য, সেবা নিশ্চিত করতে গিয়ে ব্যাংকাররা তাদের পরিবারসহ ঝুঁকির সম্মুখীন হচ্ছেন।
ইতিমধ্যে করোনার কারণে এই সাধারণ ছুটিতে কাজ করা ব্যাংকারদের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক সকল বাণিজ্যিক ব্যাংকদেরকে কোভিড-১৯ বীমা কভারেজের আওতায় আনার নির্দেশ দিয়েছে। যার সূত্র ধরে গার্ডিয়ান লাইফ খুব দ্রুত "করোনা সেফটি নেট" নামে ব্যাংকারদের জন্য একটি উপযুক্ত বীমা পরিকল্প তৈরি করেছে। এই কর্পোরেট পরিকল্পটি গ্রহণের মাধ্যমে, ব্যাংক তাদের সেসকল কর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারবে যাদের করোনভাইরাসজনিত কারণে অসুস্থ হয়ে পরার সম্ভাবনা আছে।
নানা উদ্ভাবনী উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে সময় উপযোগী বীমা পরিকল্প তৈরি ও সেরা বীমা সেবা নিশ্চিতকরণে গার্ডিয়ান লাইফ বরাবরই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তারই ধারাবাহিকতায়, চলমান দুর্যোগের অন্যতম সম্মুখযোদ্ধা ব্যাংকারদের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের ঘোষণাকৃত করোনাভাইরাসজনিত জীবন বীমা পরিকল্পনার সাথে একাত্মতা জানিয়ে গার্ডিয়ান লাইফ নিয়ে এসেছে ‘করোনা সেফটি নেট’ পরিকল্প।
গার্ডিয়ান লাইফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা, এম এম মনিরুল আলম জানান, এই পরিকল্পনার আওতায়, দায়িত্ব পালনকালীন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত যেকোন বীমাকৃত ব্যাংক কর্মী পাবেন তাৎক্ষণিক এককালীন ৫ লাখ-১০ লাখ টাকা। এছাড়াও হসপিটালাইজেশন সুবিধা হিসেবে করোনাভাইরাস জনিত চিকিৎসা বাবদ ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত প্রদান করা হবে। করোনাভাইরাসে মৃত্যুর ক্ষেত্রে, ডেথ বেনিফিট হিসেবে একজন বীমাকৃত ব্যাংক কর্মীর পরিবারকে ২৫ লাখ-৫০ লাখ টাকা প্রদান করা হবে।
বিডি-প্রতিদিন/সিফাত আব্দুল্লাহ