শুক্রবার, ১৫ মার্চ, ২০১৯ ০০:০০ টা
লালমনিরহাট বিমানবন্দর চালুর প্রক্রিয়া

স্বপ্ন পূরণের অপেক্ষায় জেলাবাসী

রেজাউল করিম মানিক, লালমনিরহাট

স্বপ্ন পূরণের অপেক্ষায় জেলাবাসী

লালমনিরহাট বিমানবন্দরে উড়োজাহাজের পরীক্ষামূলক অবতরণ। গত বুধবার তোলা ছবি

স্বাধীনতার পর প্রথমবারের মতো লালমনিরহাট বিমানবন্দরে সফলভাবে উড়োজাহাজের পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন ও অবতরণ করানো হয়েছে। সম্প্রতি বিমান বাহিনীর দুটি ফিক্সড উইং উড়োজাহাজ উড্ডয়ন ও অবতরণ করে। জেলাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি পূরণের লক্ষ্যে বিমানবন্দরটি চালুর এ পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শুরু করা হয়। এর মধ্য দিয়ে স্বপ্ন পূরণের পথে এক ধাপ এগিয়ে গেল লালমনিরহাটবাসী। এ বিমানবন্দরটি চালুর দাবি রংপুর অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের। চালু হলে রংপুর অঞ্চলে ঘটবে অর্থনৈতিক বিপ্লব। উন্মোচন হবে যোগাযোগের নতুন দ্বার-এমনটাই মনে করেন স্থানীয় রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, সাংবাদিকসহ সুশীল সমাজ। তারা মনে করেন, এ বিমানবন্দর হয়ে নেপাল, ভুটান এবং ভারতের অন্তত ১৩টি অঙ্গরাজ্যের মানুষ যেমন অনায়াসে কম খরচে বাংলাদেশে আসতে পারবে, তেমনিভাবে বাংলাদেশিরাও ভারত, নেপাল ও ভুটানে অল্প খরচে যাওয়ার সুযোগ পাবেন। এ ছাড়া লালমনিরহাটের বুড়িমারি, কুড়িগ্রামের সোনাহাট স্থলবন্দরও আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, লালমনিরাহট সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ও হারাটি ইউনিয়নের এক হাজার ১৬৬ একর জমি অধিগ্রহণ করে ১৯৩১ সালে এ বিমান ঘাঁটি তৈরি করেন তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার। দি¦তীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মিত্রবাহিনী এশিয়ার এ বিমানবন্দরটি ব্যবহার করে। ১৯৪৫ সালে যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর এটি ব্যাবহার কমে যাওয়ায় জৌলুস হারাতে বসে। দেশ স্বাধীনের পর এ বিমানবন্দরে বিমান বাহিনীর হেডকোয়ার্টার করার কথা থাকলেও বাস্তবে তা পরিত্যক্ত থেকে যায়। ১৯৮৩ সাল থেকে এখানে কৃষি প্রকল্প গড়ে তোলে বিমানবাহিনী কর্তৃপক্ষ। স্থলবন্দরসহ এ অঞ্চলের ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার ঘটাতে বিমানবন্দরটি চালু করর দাবি জানিয়ে আসছিল জেলাবাসী। বিভিন্ন দফতরে পাঠানো লালমনিরহাট বিমান বাহিনীর অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লিডার খায়রুল মামুন স্বাক্ষরিত চিঠি সূত্রে জানা যায়, লালমনিরহাট বিমান বন্দরটি চালু করতে সরকারিভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাই বন্দরটির সম্ভবতা যাচাই করতে ফিক্সড উইং (এল ৪১০) উড্ডয়ন ও অবতরণ করতে নিরাপত্তা বাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর