পঞ্চগড়ে দুই সন্তানের জননীকে আট বছর ধরে শিকলে বেঁধে রাখা হয়েছে। তার নাম করসিনা আক্তার। তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন বলে জানিয়েছে পরিবার। বর্তমানে তার বাম পায়ে শিকল পরিয়ে একটি ঘরে রাখা হয়েছে। এর আগে ডান পায়ে শিকল বাঁধার কারণে ওই পায়ে ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে। পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, ১০ম শ্রেণিতে পড়ার সময় তেঁতুলিয়া উপজেলার মানিকডোবা গ্রামের আবুল হোসেনের সঙ্গে করসিনার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে স্বামী তাকে নির্যাতন করতেন বলে অভিযোগ আছে। দ্বিতীয় সন্তানের মা হওয়ার পর নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে যায়। এক সময় পাগল আখ্যায়িত করে তাকে শিকলে বেঁধে রাখেন আবুল হোসেন। দুই বছর স্বামীর বাড়িতে শিকলে বেঁধে রাখা হয় তাকে। এর পর তাকে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় এবং স্বামী তাকে তালাক দেয়। দুই সন্তানকে স্বামীর কাছেই রাখে। তালাক পাওয়ার পর করসিনার মানসিক সমস্যা আরও বেড়ে যায়। তিনি বাড়িতে থাকতে চান না, অসংলগ্ন আচরণ করেন। পরিবারের লোকদেরও মারধর করতে থাকেন। কয়েকবার বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। দিনমজুর বাবা বিভিন্ন ডাক্তারের স্মরণাপ্ন হন। পাবনা মানসিক হাসপাতালেও চিকিৎসার জন্য দুই মাস রাখা হয়। আর্থিক টানাপড়নের কারণে চিকিৎসা করানো যায়নি। বাবার বাড়িতে ৬ বছর ধরে শিকলে বাঁধা রয়েছেন করসিনা।