শুক্রবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা

করোনা ঝুঁকিতে বেনাপোল বন্দর

চলছে ঢিলেঢালা লকডাউন

বেনাপোল প্রতিনিধি

সরকারি নির্দেশনায় কঠোর লকডাউনের মধ্যেও খোলা রয়েছে বেনাপোল কাস্টমস, আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট, ব্যাংকসহ আমদানি ও রপ্তানির সঙ্গে জড়িত সংশ্লিষ্ট সব দফতর। তবে যানবাহন বন্ধ থাকায় ভারত যাতায়াতকারীদের সংখ্যা অন্য সময়ের তুলনায় প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহসান হাবিব জানান, গত কয়েকদিন কাস্টমস হাউজে সিএন্ডএফ এজেন্টদের উপস্থিতি অন্যদিনের তুলনায় কম। তবে লকডাউনের প্রথম দিন রেকর্ড পরিমাণ রাজস্ব আদায় করেছে কাস্টম হাউস। পরের দিনগুলোতে রাজস্ব আদায় কিছুটা কমেছে। আমদানি ও রপ্তানি প্রক্রিয়া স্বাভাবিক আছে বলে জানিয়েছেন কাস্টমস কমিশনার আজিজুর রহমান। জানা যায়, বেনাপোলে পালিত হচ্ছে ঢিলেঢালা লকডাউন। ভারত থেকে আসা পণ্যবোঝাই ট্রাকের চালক বা খালাসিদের মুখে নেই মাক্স। ফলে ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন বন্দরের শ্রমিকরা। ভারতীয় ড্রাইভার ও খালাসিদের সঙ্গে বেনাপোল বন্দর শ্রমিকদের পণ্য লোড-আনলোডে সম্পৃক্ততার কারণে বন্দরজুড়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা বিরাজ করছে। অধিক করোনা সংক্রমিত দেশ ভারতের শ্রমিকদের অবাধ যাতায়াতে উদ্বিগ্ন বেনাপোল বন্দর ও আন্তর্জাতিক চেকপোস্টে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারিরা। ভারতীয় অংশে গাড়ি জীবাণুমুক্ত করা হলেও বাংলাদেশে প্রবেশের সময় ভারতীয় চালক ও খালাসিদের জন্য জীবাণুুমুক্ত হওয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই। এদিকে বেনাপোলের বিভিন্ন বাজারে সকাল থেকেই দুপুর পর্যন্ত মানুষের উপচেপড়া ভিড় দেখা যায়। আগের তুলনায় কম সংখ্যক ইজিবাইক, ভ্যান চললেও স্বাভাবিক সময়ের মতোই চলছে মোটরসাইকেল ও রিকশাভ্যান। মুদি ও কাঁচামালের বাজারের পাশাপাশি কেউ কেউ অন্য দোকানও খোলা রাখছে। পুলিশ দেখলেই অনেকে দোকান বন্ধ করে পালিয়ে যান। কিছুক্ষণের মধ্যে আবার দোকান খুলেন তারা। স্থানীয় বাজারে মাক্সবিহীন লোকের সংখ্যাই বেশি। গভীর রাত পর্যন্ত অযথা ঘুরে বেড়াচ্ছেন কেউ কেউ।

সর্বশেষ খবর