শনিবার, ৩০ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা

নেত্রকোনা-কেন্দুয়া সড়কে দুর্ভোগের শেষ নেই

নেত্রকোনা প্রতিনিধি

নেত্রকোনা-কেন্দুয়া সড়কে দুর্ভোগের শেষ নেই

গত এক দশকে নেত্রকোনা-কেন্দুয়া বেহাল সড়কে মানুষের ভোগান্তি এখন চরম পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে। কয়েক বছর ধরে কাজ চললেও দৃশ্যমান হয়নি কাজের অগ্রগতি। ঝুঁকি নিয়েই গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কে চলছে যাত্রী পরিবহনসহ বিভিন্ন যান। দূরপাল্লার নাইট কোচসহ বেশির ভাগ পরিবহন চলাচল করে মদন আটপাড়া হয়ে অন্য সড়ক ঘুরে। সুস্থ যেকোনো মানুষ এ সড়কে এক দিন চলেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। সেক্ষেত্রে অসুস্থ মানুষদের আহাজারি শোনার কেউ নেই। সরেজমিন দেখা গেছে, নেত্রকোনা-কেন্দুয়া ২৭ কিলোমিটার সড়ক বেহাল এক দশক ধরে। এর আগে থেকেও প্রায় দেড় যুগ ধরে চলছে সংস্কার-মেরামতের কাজ। কিন্তু দীর্ঘদিন বেহাল থাকায় ৫ থেকে ৬ বছর ধরে চলছে টেন্ডার প্রক্রিয়াই। এসব করতে করতেই আরও চলে গেছে তিন থেকে চার বছর। টেন্ডার হয় কিন্তু ঠিকাদার কাজ করে না। এমন করে গেল তিন বছর। হচ্ছে হবে করেই সময় পার করেছে সড়ক বিভাগ। অবশেষে গত বছরের ফেব্রুয়ারি এবং এপ্রিলে ঠিকাদার নিয়োগ হয়ে কার্যাদেশ হলেও কচ্ছপের গতিইে চলছে কাজ। সওজ সূত্রে জানা গেছে, নেত্রকোনা-কেন্দুয়া-আঠারবাড়ি-ঈশ্বরগঞ্জ ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের নেত্রকোনা-কেন্দুয়া ২৬ দশমিক ৭৪ কিলোমিটার কাজ ৩৫২ কোটি টাকা ব্যয়ে তিনটি প্যাকেজের মাধ্যমে তিন ঠিকাদার নিয়েছে। এর মধ্যে ভূমি অধিগ্রহণ রয়েছে ১৮২ কোটি টাকা। ১ নম্বর প্যাকেজ এসএম বিল্ডার্স এবং তানভীর কনস্ট্রাকশন ৪৯ কোটি টাকা ব্যয়ে সাড়ে ৮ কিমি সড়ক, ২ নম্বর প্যাকেজে মইন উদ্দিন বাশী এবং ভাউয়াল কনস্ট্রাকশন ৫০ কোটি টাকা ও ৩ নম্বর প্যাকেজে মইন উদ্দিন বাশী ৪৫ কোটি টাকায় কাজ পেয়েছেন।  কিন্তু এক বছরে মদনপুর বাজার এবং কেন্দুয়ার মাত্র কয়েক শ মিটার কাজ করতে দেখা গেছে। কেন্দুয়ার অংশে মাত্র এক কিলোমিটারের মতো রোলার দিয়ে কেবল সমান করা হয়েছে।  পুরোটাই পড়ে আছে বেহাল। সড়কে পথচারী, চালক, শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় সাধারণ মানুষের অভিযোগ বিস্তর। মদনপুর ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান বলেন, অবহেলার মধ্যে চলছে এ সড়কের কাজ।

সর্বশেষ খবর