শনিবার, ৪ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

কুয়াকাটার শুঁটকির সুখ্যাতি

কলাপাড়া প্রতিনিধি

কুয়াকাটার শুঁটকির সুখ্যাতি

সাগরকন্যা কুয়াকাটার শুঁটকির রয়েছে ব্যাপক চাহিদা। দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিদেশেও রয়েছে এর দারুণ কদর। প্রতিদিন সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত চলে বেচাকেনা। প্রাকৃতিকভাবে তৈরি করা হয় বলে এখানকার শুঁটকি মাছের সুখ্যাতি রয়েছে দেশজুড়ে। তবে লইট্টা, ছোট চিংড়ি মাছের চাহিদা বেশি। এ ছাড়া রূপচাদা, চ্যাপা, ভেটকি, ছুরি, লবস্টার, পাবদা, পোমা, কোরাল, ভোল, ইলিশসহ নানা প্রজাতীর সামুদ্রিক মাছ শুঁটকি করে বিক্রি করেছেন জেলেরা। কিন্তু এসব উৎপাদনে লাগেনি আধুনিকতার ছোঁয়া। নেই নির্দিষ্ট প্রক্রিয়াজাতকরণের স্থান। সাগরপাড়েই প্রাকৃতিক উপায়ে শুকানো হচ্ছে সামুদ্রিক মাছ। এ শুঁটকিশিল্পের উন্নয়নে সরকার বিশেষ গুরুত্ব দিলে এ শিল্প জাতীয় অর্থনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে। আর এখাকার উৎপাদিত শুঁটকি দেশের গি  পেরিয়ে বিদেশেও রপ্তানি হবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। শুঁটকি ব্যবসায়ীদের সূত্রে জানা গেছে, কুয়াকাটায় ছোট-বড় মিলিয়ে অর্ধশতাধিক দোকান রয়েছে। অন্তত ৫০ প্রজাতির শুঁটকি উৎপাদন করলেও লইট্টা এবং চিংড়ির চাহিদা সব থেকে বেশি। প্রতিটি দোকানে প্রতিদিন গড়ে ৪০ হাজার টাকা বেচাকেনা হয়। তবে শুক্র ও শনিবার পর্যটকের বেশি চাপ থাকে। তাই এসব দিনে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা বিক্রি হয়ে থাকে। তাদের ভাষ্য অনুযায়ী পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর থেকেই ধারাবাহিকভাবে পর্যটকের আগমন বৃদ্ধি পাওয়ায় অর্থনৈতিক গতিশীলতা পেয়েছে শুঁটকির বাজার। সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, শীত মৌসুমের প্রথম দিকে শুরু হয় শুঁটকি প্রক্রিয়াজাতকরণের মহাকর্মযজ্ঞ। এতে পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও সামানভাবে এ কাজে যুক্ত রয়েছেন। কেউ কুড়িয়ে মাছ একত্র করছে। কেউবা প্যাকেট করছে। এরপর এসব শুঁটকি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পাঠানোর জন্য ব্যস্ত রয়েছেন শ্রমিকরা। কোনো ধরনের কীটনাশক ব্যবহার ছাড়াই শুধুমাত্র কাঁচা মাছে লবণ মেখে সৈকতে বাঁশের মাচা বানিয়ে রোদে শুকিয়ে তৈরি করছেন শুঁটকি। কুয়াকাটার জিরো পয়েন্ট থেকে কিছু দূর পশ্চিমে গেলেই সৈকতে দেখা মিলবে সারি সারি শুঁটকির মাঁচা। বছরে ৪ থেকে ৫ মাস এখানেই শুঁটকি উৎপাদন করা হয় বলে জেলেরা জানান।

সর্বশেষ খবর