শিরোনাম
শনিবার, ৩ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়িতে দুদক টিম

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের দায়ে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পোড়াহাটী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম হিরণের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় তল্লাশি চালিয়েছে দুদক টিম। বৃহস্পতিবার দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ঝিনাইদহ সমন্বিত অফিসের কর্মকর্তারা চেয়ারম্যানের দুটি বাড়ির মাপজোক করেন।

দুদক অফিস জানায় তদন্তের স্বার্থে এই কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। উল্লেখ্য, দুদকের উপ-পরিচালক জাহিদ কামাল গত ২৫ অক্টোবর বাদী হয়ে এই মামলাটি করেন। মামলায় উল্লেখ করা হয় আসামি শহিদুল ইসলাম হিরণ ১ কোটি ৩৩ লাখ ৯৪ হাজার ৩৩৩ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। এজাহার সূত্রে জানা যায়, শহিদুল ইসলাম হিরণ ১৯৮৮ সাল থেকে ২০০৩ সাল এবং ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পোড়াহাটী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। দায়িত্ব পালনকালে তিনি নিজে ও তার ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদের নামে ১৮ লাখ ৫৭ হাজার ৪৩৩ টাকার জমি এবং ১ কোটি ২০ লাখ টাকা মূল্যমানের বাড়ি নির্মাণসহ ১ কোটি ৩৮ লাখ ৫৭ হাজার ৪৩৩ স্থাবর, গাড়ি ব্যবসায়িক পুঁজি, ইলেকট্রিক, ইলেকট্রনিকস ও আসবাবপত্রসহ মোট ২২ লাখ ৭৬ হাজার ৬৭০ টাকার অস্থাবর সম্পদ অর্জন করেছেন। এ সব সম্পদ অর্জনের উৎস হিসেবে সম্মানী ভাতা, গৃহ সম্পত্তি, কৃষি ও জমি বিক্রিসহ বিভিন্ন খাত থেকে ৪৫ লাখ ৪৬ হাজার ১০০ টাকার আয় পাওয়া যায়। পারিবারিকসহ অন্যান্য খাতে শহিদুল ইসলাম হিরণের ব্যয় পাওয়া যায় ১৬ লাখ ৬ হাজার ৪৩০ টাকা। আয় থেকে ব্যয় বাদ দিলে তার সঞ্চয় থাকে ২৯ লাখ ৩৯ হাজার ৬৭০ টাকা। যার বিপরীতে তার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ পাওয়া যায় ১ কোটি ৬১ লাখ ৩৪ হাজার ৩ টাকা। এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, এ ক্ষেত্রে তার জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে ১ কোটি ৩৩ লাখ ৯৪ হাজার ৩৩৩ টাকার অসংগতিপূর্ণ ও জ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভূত সম্পত্তি পাওয়া যায়, যা তিনি দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জন করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়। ফলে দুর্নীতি দমন কমিশন আইনের ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারায় অপরাধ করায় এ মামলা করা হয়। উল্লেখ্য, এর আগে প্রথম অনুসন্ধান কর্মকর্তা ছিলেন দুদকের যশোর অফিসের সহকারী পরিচালক শহিদুল ইসলাম মোড়ল ও দ্বিতীয় অনুসন্ধান কর্মকর্তা হিসেবে সহকারী পরিচালক মোশাররফ হোসেন দায়িত্ব পালন করেন। এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম হিরণ জানান, আমার বিরুদ্ধে কোনো জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ থাকতে পারে না। আমি তো ফকির না, আমার ১ কোটি টাকা থাকতেই পারে। আমি দুদককে চ্যালেঞ্জ করেছি। তারা আমার বাড়িতে না ঢুকে বাইরে থেকে মেপে চলে গেছে। ওই সময় আমি বাড়িতে ছিলাম না। পরে বিষয়টি শুনেছি। তবে ঢাকা থেকে এ পর্যন্ত ৩০০ সাংবাদিক ও অনেক দুদক অফিসার আমার কাছে ফোন করে উপকার করার কথা বলেছেন। আমি বলেছি কাউকে উপকার করতে হবে না।

সর্বশেষ খবর