মংলা বন্দরের অদূরে সুন্দরবন পশুর চ্যানেলের জয়মনীর ঘোল এলাকায় ৫শ' ১০ টন কয়লা নিয়ে এবার এমভি জিয়া-রাজ নামে ডুবে যাওয়া কার্গো জাহাজটি উদ্ধার অভিযান বুধবার দুপুর পর্যন্ত শুরু হয়নি। মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে মংলার পশুর নদীর জয়মনীর ঘোলের সাইলোর সামনে পশুর নদীতে কয়লা বোঝাই কার্গো জাহাজটি তলা ফেটে ডুবে যায়।
জাহাজডুবির ঘটনায় সুন্দরবনের ১ কোটি টাকার প্রাথমিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে দাবি করে বুধবার দুপুরে পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের কর্মকর্তা ফরেষ্ট রেঞ্জার গাজী মতিয়ার রহমান বাদী হয়ে মংলা থানায় মামলা করেছে। মামলায় ঢাকার সেফ ব্রার্দাস নামের কোম্পানিটির ডুবে যাওয়া এমভি জিয়া-রাজ কার্গো জাহাজের মালিক দিল খান ও মাস্টার মো. ভুলু গাজীকে আসামি করা হয়েছে। দুপুর পর্যন্ত ঘটনাস্থলে উদ্ধরিকারী জাহাজ রুস্তম ও হামজা না পৌঁছায় এখনও উদ্ধার অভিযান শুরু হয়নি বলে জানিয়েছে মংলা বন্দর হারবার বিভাগ। তবে বিএনএস মংলা নৌঘাটির এক দল ডুবুরি কয়লাবোঝাই কার্গো জাহাজটি শনাক্তের চেষ্টা চালাচ্ছে।
সুন্দরবনে ডুবে যাওয়া কার্গো জাহাজটির মাস্টার মো. ভুলু গাজী (৪০) জানান, মংলা বন্দরের হারবাড়িয়া এলাকায় অবস্থানরত একটি জাহাজ থেকে এমভি জিয়া-রাজ নামের এই কার্গোটি ৫শ' ১০ টন কয়লা নিয়ে খুলনা যাচ্ছিল। পথিমধ্যে সাইলো (খাদ্য গুদাম) সংলগ্ন পশুর নদীর জয়মনীর ঘোল এলাকায় চরে ধাক্কা খেয়ে কার্গো জাহাজটির তলা ফেটে ডুবে যায়। তবে এ সময় জাহাজে থাকা ১০ জন কর্মচারী নিরাপদে সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হয়।
এরআগে গত বছরের ৯ ডিসেম্বর জয়মনির ঘোল সাইলো (খাদ্য গুদাম) থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে সুন্দরবনের শ্যালা নদীতে তেলবাহী ট্যাঙ্কার ডুবির ৪ মাস পর ভোলা নদীতে সারবাহী আরও একটি জাহাজডুবির ঘটনা ঘটে।
বিডি-প্রতিদিন/ ২৮ অক্টোবর, ২০১৫/ রশিদা