দেশের উত্তরের জেলা লালমনিরহাটে শুরু হয়েছে দফায় দফায় শৈত্য প্রবাহ। সেই সাথে শুরু হওয়া হিমেল হাওয়া আর কনকনে ঠান্ডায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে এ জেলার খেটে খাওয়া ও ছিন্নমুল মানুষজন।
হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত লালমনিরহাট জেলায় বরাবরের মতো দেশের অন্যান্য জেলার চেয়ে এখানে শীতের তীব্রতা অনেক বেশী। দিন যতই যাচ্ছে ততই শীতের তীব্রতা বাড়ছে। আর সেই সাথে নতুন করে যোগ হয়েছে শৈত্য প্রবাহ।
গত দু দিন থেকে কুয়াশার চাদর ভেদ করে সারাদিন সুর্যের মুখ দেখা যায়নি।
জেলার খুনিয়া গাছ, চলবলা, শিয়াল খোওয়া, মইচ খোচা, ভোটমারী, হলদিবাড়ী, সিন্দুর্না, ধুবনী, গড্ডিমারী, সানিয়াজান, ঠাংঝাড়া, ধবলগুড়ি, দহগ্রাম এলাকায় দিনভর কুয়াশা আর কনকনে ঠান্ডার কারণে কাজে বের হতে পারেনি খেটে খাওয়া মানুষজন। শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় গরম কাপড়ের মার্কেটে ভীড় বেড়েছে। দরিদ্র জনগোষ্ঠির মানুষজন ধানের খরকুটো সংগ্রহ করে রাতে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা চালাচ্ছে। শিশু ও বৃদ্ধরা শীতে কাবু হয়ে পড়ছে।
জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান জানিয়েছেন, সরকারী ভাবে এ পর্যন্ত ১হাজার ৯শ ৪২টি কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। আরো ৩০ হাজার গরম কাপড়ের জন্য আবেদন করা হয়েছে।
এদিকে শীতের তীব্রতার কারণে শীতজনিত রোগের প্রাদুর্ভাবও বেড়েছে। গত ২দিনে জেলার ৫টি হাসপাতালে শতাধিক শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে।
লালমনিরহাটের সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. আজমল হক জানান, হঠাৎ শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ার কারণে শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তিরা শ্বাসকষ্ট, সর্দি, কার্শিসহ শীতজনীত রোগে বেশী আক্রান্ত হচ্ছে।
বিডি-প্রতিদিন/ ০৯ জানুয়ারি ১৬/ সালাহ উদ্দীন