লক্ষ্মীপুরে ডায়েরিয়া রোগে আক্রান্ত হওয়া শিশুর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। নতুন বছরের ১০ দিনে ডায়েরিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রায় ৩০০ রোগী চিকিৎসা নিযেছেন জেলা সদর হাসপাতালে। বর্তমানেও ভর্তি রয়েছে বেশ কিছু রোগী। যার ৯৯ শতাংশ রোগী হচ্ছে শিশু।
শিশু স্বাস্থ্য সুরক্ষায় হাসপাতালে এসে পরিমিত সেবা না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন রোগীর স্বজনরা। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আবাসিক মেডিকেল অফিসার তিনি বলছেন শীতে এখানকার চরাঞ্চলের শিশুরা রোটা ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে বেশী।
সরেজমিন, লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের ডায়েরিয়া ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা গেছে, বেড সংখ্যা ১০ টি রোগী রয়েছে অর্ধ শতাধিক। প্রতিদিন যোগ হচ্ছে আরো নতুন নতুন রোগী। শনিবার বিকাল পর্যন্ত হাসপাতালে ৪০ জন রোগী ভর্তি ছিল। শয্যা সংখ্যা কম হওয়ায় এক বেডে দুই রোগী ও তিন রোগীও অবস্থান করতে দেখা গেছে। এই ওয়ার্ডের ৯৯ শতাংশ রোগী হচ্ছে শিশু। এর ফলে অভিবাবকদের ভিড়ও একটু বেশী। অভিযোগ উঠেছে উন্নত চিকিৎসা নিতে এসে ডাক্তারের দেখা না পাওয়া ও হাসপাতালের সরকারি ঔষধ মিলছেনা।
তবে ডায়েরিয়া ওয়ার্ডের ইনচার্জ হারুনুর রশিদ জানান, শুক্রবার ছাড়া সবসময় ডাক্তার থাকেন। সরকারি সকল সুযোগ নুবিধা রোগীদের দেয়া হয়। কিন্তু বেডের তুলনায় রোগী বেশী হওয়ায় হিমশিম খেতে হয় বলে জানান তিনি।
হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের শুরু থেকে প্রতিদিনই ডায়েরিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে ১৮-২০ জন রোগী ভর্তি হন হাসপাতালে আর বহি:বিভাগে চিকিৎসা নেন আরো ২৫-৩০ জন। নতুন বছরের ১ জানুয়ারী ৪০ জন, ২ জানুয়ারী ৩৮ জন, ৩ জানুয়ারী ৩৭, ৪ জানুয়ারী ৪০, ৫ জানুয়ারী ৩৯, ৬ জানুয়ারী ৪৫ ও ৭ জানুয়ারী ৩৭ জনসহ প্রতিদিন এভাবেই আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা নেন এই হাসপাতালে।
সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: আনোয়ার হোসেন জানান, ডায়েরিয়া রোগী অন্যান্য সময়ের চেয়ে বেশি। বিশেষ করে শীতকালে এসব অঞ্চলের শীত ঋতুতে রোটা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বাড়ে। জেলার কমলনগর, রামগতি রায়পুর ও রামগঞ্জসহ চরাঞ্চলে এ সমস্যা বেশি দেখা দেয় বলে জানান তিনি। হাসপাতালে স্যালাইন বা ওষুধের কোনো সংকট নেই জানিয়ে তিনি বলেন, আতংকিত হওয়ার কিছু নেই।
বিডি-প্রতিদিন/ ০৯ জানুয়ারি ১৬/ সালাহ উদ্দীন