বগুড়ার সান্তাহারে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির সমর্থক পরিবহন শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষে ২ জন নিহতের ঘটনায় পৌর মেয়রসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তিকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। মামলায় সান্তাহার পৌর মেয়র ছাড়াও আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির উপজেলার শীর্ষ নেতাদের আসামী করা হয়েছে। নিহত যুবলীগ নেতা শফিকুল ইসলামের বড় ভাই নুর ইসলাম বাদী হয়ে আজ রবিবার সকালে আদমদীঘি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় আটক পৌর জাপার সভাপতি লতিফ, ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আশরাফুল ইসলাম মন্টু এবং শ্রমিক সজলকে গ্রেফতার দেখিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে থানা পুলিশ।
জানা গেছে, শুক্রবার দুপুরে দুই দল পরিবহন শ্রমিকদের সংঘর্ষে সান্তাহার ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম নিহত হয়। এরপর সংঘর্ষে আহত শ্রমিকলীগকর্মী সিএনজি চালক সোহাগ হোসেন (২৬) চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার ঢাকায় মারা যায়। এ ঘটনায় পুলিশ ৩ জনকে আটক করে। যুবলীগ নেতা শফিকুল হত্যার ঘটনায় তার বড় ভাই সান্তাহারের সান্দিরা গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে নুর ইসলাম বাদী হয়ে ২৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৫০-৬০ জনকে আসামী করে আদমদীঘি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছে। এতে সান্তাহার পৌর মেয়র ও পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন ভুট্টু, আদমদীঘি উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম মন্টু, আদমদীঘি উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি এন এইচ মিলন, চার্জার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা ছুটু ও আঙ্গুরকে হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী ও হুকুমদাতা হিসেবে উল্লেখ করে পৌর জাপার সভাপতি লতিফ সিদ্দিকী, উপজেলা জাপার সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস হাসান সুমনসহ ২৫ জন এবং অজ্ঞাতনামা আরো ৫০-৬০জনকে মামলার আসামী করা হয়েছে।
বগুড়ার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান জানান, সান্তাহারে সংঘর্ষের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। আটক ৩ ব্যক্তিকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/১০ জানুয়ারি ২০১৬/শরীফ