বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ এখন ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনী আলোচনায় সরগরম। এ নির্বাচনকে ঘিরে উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নের সম্ভ্যাব্য প্রার্থীরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। ব্যস্ততা বেড়েছে রাজনৈতিক দলের নেতাদেরও। রাতবিরাত উপজেলা পর্যায়ের নেতাদের বাড়িতে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের আনাগোনা বেড়েছে। চলছে দেন দরবার, বৈঠক, লবিং, তদবির।
আসন্ন নির্বাচনে ১৬টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সংখ্যা ১শ'র কাছাকাছি। এদিকে প্রার্থী সংকট বিএনপি ও জাতীয় পার্টিতে। বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী এই নির্বাচনে প্রার্থী দেওয়ার বিষয়ে আদৌ ভাবছে না। তবে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার আগ পর্যন্ত সকল ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে লেগে আছে আওয়ামী লীগেরই নেতাকর্মীরা। নেৌকা পাওয়ার আশায় তারা একজন অপরজনের অপকর্মের খতিয়ান গেয়ে বেড়াচ্ছেন। তাই সাধারণ ভোটারারা মনে করছেন 'চেইন অব কমান্ড' নেই আওয়ামী লীগে। তারা নিজেরাই পেরেক ঠুকছে নেৌকায়, যদিও এর সুফল ঘরে নিতে পারছে না বিএনপি'।
আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা দোয়া ও সমর্থন চেয়ে পোস্টারিং, পথসভা ও গণসংযোগ শুরু করেছেন। সেইসাথে ছুটছেন দলের নেতাদের কাছে যারা চেয়ারম্যান প্রার্থীদের ভাগ্য নির্ধারণ করবেন । মোরেলগঞ্জে ১৬টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাচ্ছেন প্রায় একশ' জন। এই মনোনয়ন প্রত্যাশীরা একে অন্যের দোষ খুঁজছেন। এর মধ্যে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে তালিকাভুক্ত রাজাকার, আল বদর, জল্লাদসহ ১৯৭১ সালের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিষয়গুলো।
বিএনপিরও কয়েকজন পোস্টার ছেপেছেন মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে। তবে তারা সংখ্যায় খুবই কম। মামলা, হামলা ও সর্বশেষ পৌরসভা নির্বাচনের বাস্তবতা দেখে বিএনপির অনেকেই প্রার্থী হতে চাইছেন না। গণসংযোগেও তাদেও তেমন দেখা যায় না। ১৬টি ইউনিয়নে ১৬ জন প্রার্থীই খুজে পাচ্ছে না বিএনপি।
নির্বাচন সম্পর্কে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাড. আমিরুল আলম মিলন বলেন, এ বিষয়ে এখনো দলীয় কোনো নির্দেশ পাইনি। পৌর বিএনপির সভাপতি আব্দুল মজিদ জব্বার বলেন, অধীকাংশ ইউনিয়নে একক প্রার্থীর নাম পাওয়া গেছে। দলের সিদ্ধান্ত পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জামায়াতে ইসলামীর উপজেলা আমীর অধ্যাপক বজলুর রশিদ বাদশা বলেন, দলীয়ভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণের নির্দেশ রয়েছে তবে বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় দলীয়ভাবে কোনো প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়ার সম্ভাবনা নেই।
বিডি-প্রতিদিন/১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬/শরীফ