টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার মামুদনগর ইউনিয়নের বাড়ীগ্রাম স্কুল এন্ড কলেজের একাডেমিক ভবনের টিনের চাল ঘূর্ণিঝড়ে উড়ে যাওয়ার পর থেকে খোলা আকাশের নীচে প্রখর রোদ্রে চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান। মঙ্গলবার সন্ধায় কাল বৈশাখী ঝড়ে বিদ্যালয়ের টিনের চাল উড়ে যায়। লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় বিদ্যালয়ের আসবাবপত্র। টিনের চালা ও ছাউনি দুমড়ে মুচড়ে পড়ে। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ টিনের চালা ও ছাউনি এখনো মেরামত হয়নি। এতে প্রখর রোদ উপেক্ষা করে শিক্ষার্থীরা খোলা আকাশের নীচে ক্লাস করলেও আকাশে মেঘ ডাকলেই স্কুল ছুটি দিতে হয়। ফলে শিক্ষা কার্যক্রম চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট শিক্ষকরা।
সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. আজিজুর রহমান জানান, প্রায় ৬ শতাধিক শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে অধ্যায়ন করছে। গত মঙ্গলবার সন্ধায় বয়ে যাওয়া কাল বৈশাখী ঝড় বিদ্যালয় ভবনে আঘাত হানে। এতে ৪টি শ্রেণিকক্ষের টিনের চালা সম্পূর্ণ উড়ে যায়। লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় মূল্যবান গাছপালাসহ আসবাবপত্র। এরপর থেকেই খোলা আকাশের নীচে প্রখর রোদ্রে চলছে পাঠদান।
বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিন ক্ষতিগ্রস্থ বিদ্যালয়ে গিয়ে অবর্ননীয় কষ্টের মধ্যে ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠদান করতে দেখা গেছে। বিদ্যালয়ের ৪টি শ্রেণিকক্ষের টিনের চালা দুমড়ে মুচড়ে উড়িয়ে নিয়ে গেছে গাছের ডালে। বিদ্যলয়ের পূর্ব পাশে তাল গাছে ঝুলে আছে শ্রেণিকক্ষের ৪টি বৈদ্যুতিক ফ্যান। এছাড়া দেয়ালের ভীম ভেঙ্গে চুর্ণ বিচূর্ণ হয়ে গেছে।
দশম শ্রেণির ছাত্রী শ্রাবন্তী জানান, সামান্য বৃষ্টি হলেই আমাদের ক্লাশ বন্ধ হয়ে যায়। বৃষ্টিতে ভীজে নষ্ট হয়ে যায় বই খাতা।
এ ব্যাপারে বাড়ীগ্রাম স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক মো. আলমাছ উদ্দিন জানান, ঘূর্ণিঝড়ে বিদ্যালয়ের ব্যপক ক্ষতি হয়েছে। বিদ্যালয়টি দ্রুত মেরামত করা না গেলে শিক্ষার্থীদের অপুরনীয় ক্ষতি হবে।
এ বিষয়ে স্থানীয় সাংসদ খন্দকার আবদুল বাতেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ দুলাল ও প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/০৭ মার্চ, ২০১৬/মাহবুব