নওগাঁ জেলা বিএনপির দলীয় অফিস থেকে বের হওয়া কালো পতাকা মিছিলে বেধড়ক লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। এ সময় পুলিশের লাঠিচার্জে জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু বক্কর সিদ্দিক নান্নু ও সদর থানার পুলিশসহ কমপক্ষে ১০ নেতাকর্মী আহত হয়েছে।
পুলিশের লাঠিচার্জের পর ধাওয়া করে মুক্তির মোড় এলাকা থেকে পুলিশ জেলা যুবদলের সভাপতি বায়েজিদ হোসেন পলাশসহ ১১জনকে আটক করে। শান্তিপূর্ণ কালো পতাকা মিছিলে পুলিশের বেধড়ক লাঠিচার্জ ও আটকের ঘটনায় জেলা বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
জানা গেছে, পূর্ব নির্ধারিত দেশব্যাপী গণতন্ত্র হত্যা দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার দুপুরে নওগাঁ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু বক্কর সিদ্দিক নান্নুর নেতৃত্বে একটি মিছিল দলীয় অফিস থেকে বের হয়ে মুক্তির মোড়ের দিকে যেতে থাকে। মিছিলটি মুক্তির মোড়ে পৌঁছালে পুলিশ মিছিলের বাধা দিয়ে ব্যানার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় বিএনপির নেতাকার্মীদের সাথে পুলিশের বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে মিছিলে বেধড়ক লাঠিচার্জ করে পুলিশ। পুলিশের লাঠিচার্জে জেলা বিএনপি আহবায়ক আবু বক্কর সিদ্দিক নান্নু, জেলা মহিলা দলের সদস্য সচিব ও উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শবনম মোস্তারী কলি, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক শফিউল আজম টুটুল, ছাত্রদল নেতা রুহুল আমিন মুক্তার, ছাত্রদল নেতা আব্দুল কাদের রাসেল, যুবদল নেতা আলাল হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের শহর শাখার সভাপতি আসিফ ইকবাল, মহিলা দলের লাকী আক্তারসহ কমপক্ষে ১০জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু বক্কর সিদ্দিক নান্নু, মহিলা দলের শবনম মোস্তারি কলি ও লাকি আক্তারকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আর লাঠিচার্জের পর মুক্তির মোড় থেকে জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু বক্কর সিদ্দিককে আটক করা করে নিয়ে যাওয়া হলেও পরে তাকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।
নওগাঁ সদর মডেল থানার ওসি তোরিকুল ইসলাম জানান, বিএনপি নেতাকর্মীদের হামলায় নওগাঁ সদর মডেল থানার ইন্সপেক্টর সামসুল আলম, এসআই শহিদুল ইসলাম, এএসআই হুমায়ুন কবির ও নায়েক আল আমিন গুরুত্বর আহত হয়েছে। এ সময় মুক্তির মোড় এলাকা থেকে জেলা যুবদলের সভাপতি বায়েজিদ হোসেন পলাশ, ছাত্রদল নেতা খায়রুল আলম গোল্ডেন, জাকারিয়া রোমিও, খলিলুর রহমান, তৌফিকুর রহমান লালূ, শহিদুল ইসলাম মোহন, তারিকুল ইসলাম, আলাল মন্ডল, জামাল শেখ, গোলাপ মন্ডল, মতিউর রহমান বুলুসহ ১১জন নেতাকর্মীকে আটক করা হয়।
তিনি আরো জানান, বিএনপির মিছিল থেকে পুলিশের উপর হামলা ও সরকারী কাজে বাধাদানের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মামলায় জেলা যুবদলের সভাপতিসহ আটককৃত ১১জনকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।