আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) শূন্য আসনের উপ-নির্বাচনে সরকার দলীয় প্রার্থী হাসান ইমাম খান সোহেল হাজারী ছাড়া মাঠে অপর দুই প্রার্থীকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
বেশিরভাগ ভোট কেন্দ্রগুলো ছিল ভোটার শূন্য। মিডিয়ার ক্যামেরা কেন্দ্রে উপস্থিত হলেই আওয়ামী লীগ দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকরা দৌঁড়ে এসে ভোটারের লাইনে দাঁড়িয়ে যেতে দেখা গেছে। আবার ক্যামেরা সরে গেলে লাইন ভেঙ্গে বের হয়ে যান তারা। এমন চিত্র দেখা গেছে প্রতিটা ভোট কেন্দ্রে।
ভোট কেন্দ্রগুলোতে নৌকা মার্কার এজেন্ট থাকলেও অন্য দুই প্রার্থীর কোনো এজেন্ট পাওয়া যায়নি। নির্বাচনী এলাকায় প্রতিদ্বন্দ্বী অপর দুই প্রার্থীকে ভোটাররা ভোটের আগে ও পরে কোনো দিনই দেখেননি বলে জানান অনেকে। এমনকি ওই দুই প্রার্থী কেউ এ উপজেলারও ভোটার নন।
উপ-নির্বাচনে সরকার দলীয় প্রার্থী আওয়ামী লীগের হাসান ইমাম খান সোহেল হাজারি (নৌকা), বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) এর প্রার্থী আতাউর রহমান খান (টেলিভিশন) ও ন্যাশনাল পিপলস্ পার্টির(এনপিপি) প্রার্থী ইমরুল কায়েস (আম) প্রতিদ্বন্দিতা করেছেন।
এলেঙ্গা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ইলিয়াস আলীর সাথে কথা হয়। তিনি জানান, ভোটারবিহীন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীই জয়ী হবে।
আব্দুর রহিম বাদল জানান, এ নির্বাচন সম্পর্কে ভোটাররা জানেই না। তাই ভোটারের উপস্থিতি নেই বললেই চলে। দলীয় নেতাকর্মীরাই ভোট দিয়ে যাচ্ছে। অনেক জায়গায় অপ্রাপ্তবয়স্করাও ভোট দিচ্ছে।
আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাসান ইমাম খান সোহেল হাজারীর সাথে দেখা হয় উপজেলার এলেঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে। তিনি জানান, সকাল থেকে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ চলছে। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
অপর দুই প্রার্থীর সাথে তার দেখা হয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে হাজারী না সূচক উত্তর দেন। তিনি বলেন, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী নির্বাচনী মাঠে থাকলে নির্বাচন জমতো। আর এ আসনের আওয়ামী লীগ শক্তিশালী অবস্থানে আগেও ছিল এখনো আছে। গত কয়েকবার নির্বাচনে ৭০/৭৫ হাজার ভোট পেয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছে। তাই এবারও তার ব্যতিক্রম হতো না।
বিডি প্রতিদিন/৩১ জানুয়ারি, ২০১৭/ফারজানা