শরৎ প্রায় শেষ। রয়ে গেছে শরতের প্রধান আকর্ষণ কাশফুল। কাশফুলের সৌন্দর্য পুলকিত হয় না এমন মানুষ বিরল। কুমিল্লার গোমতী নদীর তীর, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে, লালমাই পাহাড়ে এবং উঁচু জমিতে দোল খেতে দেখা যায় শ্বেত শুভ্র কাশফুলকে। অনাদরে অযত্নে বেড়ে ওঠা কাশফুল দেখতে বিভিন্ন স্থানে প্রতিদিনই ভিড় করেন দর্শনার্থীরা।
সূত্র জানায়, বাংলাদেশের সব অঞ্চলেই নদীর ধার, জলাভূমি, চরাঞ্চল, পাহাড় কিংবা গ্রামের উঁচু জায়গায় কাশফুল জন্মে। ফুল হিসেবে কাশফুলের তেমন কোনো কদর নেই, কেউ তা চাষও করে না। বর্ষার দুর্যোগ অবস্থা কাটিয়ে শরৎ আসে স্নিগ্ধতার পাখায় ভর করে। সারি সারি কাশফুলের মন মাতানো ঢেউ এক অভূতপূর্ব দৃশ্যের সৃষ্টি করে। কাশফুলের সান্নিধ্যে এসে মানুষ মন ও দেহের ক্লান্তি ঢেলে দেয় বাতাসে উড়ে বেড়ানো ফুলের শুভ্র রেনুর গায়ে। নারী-পুরুষ, ছেলে-বুড়ো সব মানুষ সময় কাটাতে চলে আসে নদী বা রাস্তার ধারের কাশফুলের রাজ্যে।
কবি ও সাংবাদিক খায়রুল আহসান মানিক বলেন, নীল আকাশের নিচে সাদা কাশফুল যখন বাতাসের দোলায় দুলতে থাকে তখন মনটাও আন্দোলিত হয়ে উঠে। মনে হয় সাদা পোষাক পরা এক ঝাঁক সুন্দরী যেন হাওয়ায় নৃত্য করছে।
প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর কুমিল্লাস্থ চট্টগ্রাম বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালক লাভলী ইয়াসমিন বলেন, শরতের প্রকৃতিতে একটা দারুণ পরিবর্তন আসে। কাশফুলে ছেয়ে যায় সারা মাঠ। এ এক নয়নাভিরাম দৃশ্য। বিশেষ করে জোসনা রাতের সাদা কাশফুলের সৌন্দর্য মনকে ভীষণ ভাবে আন্দোলিত করে।
বিডি প্রতিদিন/১৪ অক্টোবর ২০১৭/হিমেল