কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার রাজাপুরে ত্রিপুরা-বাংলাদেশ বিদ্যুৎ খাতে যৌথ সহযোগিতায় ৪০০ কেভি খুঁটির গোড়া থেকে ড্রেজার মেশিনে মাটি ও বালু উত্তোলনের কাজ চলছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বুড়িচং উপজেলাা রাজাপুরে ধানী জমিতে ত্রিপুরা বাংলাদেশ যৌথ বিদ্যুৎ খাতে ৪০০ কেভি বিদ্যুৎ সঞ্চালনের ২৮ তম খুঁটির গোড়ায় বড় কুপের মত খনন করে ড্রেজার মেশিন দিয়ে মাটি ও বালু উত্তোলনের কাজ চলছে।
স্থানীয়রা জানান, যে জমিতে ড্রেজার মেশিন দিয়ে মাটি ও বালু উত্তোলনের কাজ চলছে তাতে অদূর ভবিষ্যতে মাটির স্তর নিচে নেমে হাজার একর জমি জলাশয়ে রুপ নেবে।
এদিকে যে জমি থেকে মাটি ও বালু উত্তোলন করা হচ্ছে সে জমির মালিক বুড়িচং উপজেলার শংকুচাইল এলাকার মৃত নোয়াব মিয়ার ছেলে জামাল হোসেন।
রাজাপুর এলাকার ডা: মো: জাহাঙ্গীর আলম, মো: ফয়েজ আহাম্মদ খোকন, মো: আবুল কালাম আজাদ, মো: আবদুল অহিদ, মো: জহিরুল ইসলাম, হাজী মো: জালাল উদ্দিন জানান, ড্রেজার দিয়ে জমির প্রায় ৬০-৭০ ফুট নীচ থেকে যখন বালু উত্তোলন করা হবে তখন অদূর ভবিষ্যতে ওই প্রান্তরের মাটি ধেবে গিয়ে ধানী জমিগুলো জলাশয়ে রুপ নিবে। এছাড়াও বিদ্যুতের খুঁটির গোড়ায় কুপ খনন করায় তা ভয়াবহ দুর্ঘটনাও ঘটার আশংকা রয়েছে।
এ বিষয়ে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো: জাহাংগীর আলম জানান, বিষয়টি তত্বাবধানের দায়িত্ব বিদ্যুৎ বিভাগের। তারা যদিও সমস্যা সমাধানে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতা চায় তাহলে বিদ্যুৎ বিভাগকে পূর্ণ সহযোগিতা করা হবে।
বাংলাদেশ বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ড কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী জসিম উদ্দিন জানান, আমরা লিখিত আকারে অভিযোগটি পেয়েছি। অফিস থেকে লোকজন পাঠিয়ে তাদেরকে শর্ত দেয়া হয়েছে যে মূল খুটি থেকে ১৫০ ফুট দূরে খনন কাজ করতে হবে। যদি এর পরিবর্তন হয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন