মংলা বন্দর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরীক্ষায় অতিরিক্ত ফি দিতে বাধ্য করা হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। এমন অভিযোগ উঠেছে ওই স্কুলের দশ বছর যাবত দায়িত্বে থাকা ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষাকার বিরুদ্ধে। ওই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকার কারণে বদলির আদেশ পেয়েও প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করতে পারছেন না অন্য এক শিক্ষক।
স্কুৃলটির দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষায় সরকারি নিয়মানুসারে শিশু শ্রেণিতে কোন ফি নেয়ার নিয়ম না থাকলেও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিকিা প্রত্যেক ছাত্রের কাছ থেকে আদায় করেন পঞ্চাশ টাকা। প্রথম শ্রেণিতে দশ টাকার স্থলে নেয়া হয় বিশ টাকা। দ্বিতীয় শ্রেণিতে পনের টাকার স্থলে নেয়া হয় পঁচিশ টাকা। তৃতীয় শ্রেণিতে পঁচিশ টাকার স্থলে নেয়া হয় পয়ত্রিশ টাকা। ৪র্থ শ্রেণিতে ত্রিশ টাকার স্থলে নেয়া হয় চল্লিশ টাকা। আর পঞ্চম শ্রেণিতে পয়ত্রিশ টাকার স্থলে নেয়া হয় ৫০ টাকা।
ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে বাড়তি টাকা নেয়ার বিষয়ে মংলা বন্দর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষাকার আবসানা ওয়ারিন রবিবার বিকালে মুঠোফোনে বলেন, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষাকার নির্দেশে আমরা সহকারী শিক্ষাকরা বাড়তি টাকা আদায় করেছি। আমি দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ২৫ টাকা ও চতুর্থ শ্রেনীর শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৪০ টাকা আদায় করেছি। আদায় কৃত সব টাকা ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষাকা রাফিজা খাতুনের কাছে জমা দিয়েছি।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষাকা রাফিজা খাতুন প্রথমে সাংবাদিকদের কাছে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করলে পরে তিনি সংবাদ প্রচার না করার জন্য অনুরোধ করেন।
স্কুলটিতে বিভিন্ন অনিয়মের কারণে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষাকা বদলীর জন্য প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের খুলনা বিভাগীয় উপ-পরিচালক লিখিত নির্দেশনা দেয়ার পরও এখানে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করতে পারেননি শেলাবুনিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষাকা আনজুম আরা বেগম। পাঁচ মাসেও বদলির আদেশটি বাস্তবায়ন করেনি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস।
বাগেরহাট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার অশোক কুমার সমাদ্দার মুঠোফোনে জানান, মংলা বন্দর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষাকার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার