বুড়িগঙ্গা নদী থেকে নারী-শিশুসহ চারজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে বরিশুর নৌ পুলিশ। শনিবার (২৩ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নদীর পৃথক স্থান থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়। সদরঘাট নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ওসি) মো. সোহাগ রানা তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মরদেহগুলো ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। উদ্ধারকৃত চারজনের মধ্যে একজন পুরুষ, দুই নারী এবং এক শিশু রয়েছে। এ পর্যন্ত তাদের পরিচয় শনাক্ত হয়নি। নৌ পুলিশের এস আই মুক্তার হোসেন জানান, স্থানীয়রা নদীতে ভাসতে থাকা মরদেহ দুটি দেখে পুলিশকে খবর দেন, এরপর আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করি।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে দেখা গেছে, মরদেহগুলো যাতে ভেসে ওঠে না সেজন্য ৫০ কেজি ওজনের চালের বস্তার সঙ্গে হাত বেঁধে নদীতে ফেলা হয়েছিল। মরদেহগুলো পচে যাওয়া কারণে ফিঙ্গার প্রিন্টের মাধ্যমে পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
এর আগে একই দিনে দুপুরে বুড়িগঙ্গা নদীতে নারী ও শিশুসহ দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। ধারণা করা হচ্ছে, তারা মা ও ছেলে। উদ্ধারকৃত নারীর বয়স ৩৫ বছর এবং শিশুটির বয়স ৩-৪ বছর। নারীর পরনে ছিল সালোয়ার কামিজ এবং গলায় বোরকার হাতা দিয়ে ফাঁস লাগানো অবস্থায় পাওয়া গেছে। শিশুর গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় ছিল। পুলিশ সন্দেহ করছে, শ্বাসরোধ করে তাদের হত্যা করা হয়েছে এবং পরে মরদেহ নদীতে ফেলা হয়েছে।
আইনি প্রক্রিয়া চলমান আছে বলে জানা গেছে।