বগুড়ার ধুনটে স্ত্রীর মর্যাদার দাবিতে ৭ বছরের সন্তান নিয়ে স্বামীর বাড়িতে অনশন কর্মসূচি পালন করছে এক গৃহবধূ। আজ রবিবার দুপুর থেকে ধুনট গোসাইবাড়ী ইউনিয়নের চিথুলিয়া গ্রামে গার্মেন্টস শ্রমিক দুলু মিয়ার বাড়িতে এই কর্মসূচি পালন করছে গৃহবধূ লতা খাতুন।
জানা গেছে, চিথুলিয়া গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে দুলু মিয়ার সাথে ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়নের ভুতবাড়ী গ্রামের মৃত কোরবান আলীর মেয়ে লতা খাতুনের প্রায় ১২ বছর আগে বিয়ে হয়। তাদের দাম্পত্য জীবনে আরাফাত রহমান নামে সাত বছরের এক ছেলে সন্তান রয়েছে। কিন্তু গত দুই বছর আগে পারিবারিক কলহের জের ধরে দুলু মিয়া তার স্ত্রী লতা খাতুনকে ডিভোর্স দেয়। এঘটনায় লতা খাতুন বাদী হয়ে বগুড়ার পারিবারিক ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় দুলু মিয়া কারাবরণ করে।
লতা খাতুন জানায়, গত ২৮ জুন গাজীপুরের নোটারি পাবলিক কার্যালয়ে এভিডেভিটের মাধ্যমে তাকে বিয়ে করে ঢাকায় গার্মেন্টস শ্রমিকের কাজ করে ঘর সংসার করে আসছিল। কিন্তু সম্প্রতি দুলু মিয়া গোপনে আরেকটি বিয়ে করেছে। তাকে স্ত্রীর মর্যাদা দেওয়া না হলে স্বামীর বাড়িতে তার অনশন অব্যাহত থাকবে বলে সে জানায়।
ঈদের ছুটিতে ধুনটের চিথুলিয়া গ্রামের বাড়িতে আসা দুলু মিয়া জানায়, লতাকে দ্বিতীয় বার বিয়ে করেনি।
বিয়ের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, তাকে ফাঁসাতে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
বগুড়ার ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খান মো. এরফান বলেন, এ বিষয়ে কোন অভিযোগ পাইনি। তবে আভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার