কিশোরগঞ্জে সন্ত্রাসী হামলায় যুবলীগ নেতা এ. কে. এম. ইউসুফ মনি (৩৮) নিহত হয়েছেন। এ সময় গুরুতর আহত হয়েছেন তার ছোট ভাই কিশোরগঞ্জ পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইয়াকুব সুমন। সন্ত্রাসীরা তাদের বাড়িঘরেও হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করেছে।
শুক্রবার রাত ৯ টার দিকে শহরের রথখলা এলাকায় হামলার ঘটনাটি ঘটে। নিহত ইউসুফ মনি শহরের আখড়া বাজার এলাকার মৃত ইদ্রিস আলীর ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রথখলা এলাকার একটি জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে রাতে একদল মুখোশধারী সন্ত্রাসী পৌর কাউন্সিলর ইয়াকুব সুমনের ওপর হামলা চালায়। এ সময় তার বড় ভাই যুবলীগ নেতা ইউসুফ মনি তাকে রক্ষা করতে গেলে সন্ত্রাসীরা তাকেও কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। স্থানীয় লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাদেরকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। রাত ১১ টার দিকে চিকিৎসক ইউসুফ মনিকে মৃত ঘোষণা করেন। পৌর কাউন্সিলর ইয়াকুব সুমন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
নিহত ইউসুফ মনির ছোট ভাই এ.কে.এম. ইউনুস রোমান বলেন, রথখলা এলাকার একটি বিল্ডিংয়ের মালিকের কাছে কতিপয় চিহ্নিত চাঁদাবাজ চাঁদা দাবি করে আসছিল। প্রায় এক সপ্তাহ আগে তার ছোট ভাই পৌর কাউন্সিলর ইয়াকুব সুমন বিষয়টি মীমাংসা করে দেন। কিন্তু চাঁদাবাজরা মীমাংসা না মেনে তার ভাইয়ের ওপর হামলা চালিয়েছে।
পুলিশ শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সাতজনকে আটক করেছে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনার পর শহরের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল