পাহাড়ের অনগ্রসর জনগোষ্ঠীকে সুপেয় পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থার নিশ্চয়তা দিতে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ ৯২ কোটি টাকা উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত করেছে। খাগড়াছড়ি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ, খাগড়াছড়ি জেলার ৯টি উপজেলায় রিংওয়েল ১৬৮৫টি, অগভীর তারা নলকূপ ৯৩৩টি, অগভীর ৬নং নলকূপ ৫৭টি, গভীর তারা নলকূপ ১৮৮টি, গভীর ডিএসপি নলকূপ ১৪৪২টি, পরীক্ষামূলক নলকূপ ২০৬টি, উৎপাদক নলকূপ ৬৮টি, পাম্প হাউস ৬৮টি, পাইপ লাইন ১৩০.২৫কি.মি., সাবমারসিবল পাম্প সরবরাহ ৬৮টি, পাবলিক টয়লেট কমিউনিটি ল্যাট্রিন ৪৫টি, লো-কষ্ট ল্যাট্রিন সেট ২২০০ সেট, রেইন ওয়াটার হারভেষ্টিং-১৫টি, রিংওয়েল সংস্কার ৬২০টি কাজ শেষ করেছে।
একইভাবে সরবরাহ ও স্যানিটেশন ব্যবস্থার জন্য ওয়াশ ব্লক-১০৬টি, বিদ্যুৎ চালিত নলকূপ ওয়াটার কালেকশন বেসিন সহ ১০৯টি, রিংওয়েল ৬২টি, অগভীর তারা নলকূপ ৬৩টি স্থাপন করে। সুবিধা বঞ্চিত বিভিন্ন পাহাড়ের জনপদে জনস্বাস্থ্যের উন্নয়নের জন্য এসব কাজ করা হয়।
খাগড়াছড়ির জনস্বাস্থ্য বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সোহরাব হোসেন জানান, পাহাড়ের জনগোষ্ঠীর পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ২০০৯ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ৯২ কোটি টাকা উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করা হয়েছে। যা সুবিধা বঞ্চিত জনগোষ্ঠী এসব সুবিধা ভোগ করে চলেছে।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী মো. আশরাফুল ইসলাম জানান, চলতি বছর থেকে ২০২০ সালের মধ্যে আরও উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। তিনি আরো জানান, পাইপ লাইনের মাধ্যমে পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন প্রকল্পে জেলার ৯টি উপজেলার ৫৮টি গ্রাম ও জেলার বাজারসমূহ ও নিকটবর্তী এলাকায় পানি সরবরাহ, স্যানিটেশন ব্যবস্থাকরণ প্রকল্পের কাজ হাতে নেওয়া হয়। এছাড়া খাগড়াছড়ি জেলার ৯টি উপজেলায় নতুনভাবে ৭০টি বাজারে সুপেয় পানির উন্নয়ন ব্যবস্থার কাজ করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল