নাটোরের গুরুদাসপুরে নির্মিত এইচবিবি পুরাতন রাস্তার ইট দিয়েই ২০০ মিটার রাস্তার সাববেইজ নির্মাণ কাজ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অন্য নির্মাণ কাজেও নিম্নমানের ইট, বালু, খোয়া ব্যবহারের অভিযোগ।
উপজেলা প্রকৌশলী অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় নাটোরের গুরুদাসপুরে একটি প্যাকেজে (আরডিআরআইডিপি/ নাট/ গুরুদাসপুর/স্কুল কানেকটিং-০১/১৮-১৯) তিনটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আলাদা আলাদা ভাবে মোট ১ হাজার ৩৭৫ মিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণের জন্য ৮৮ লাখ ৭৬ হাজর ৩৭১ টাকা ব্যয় বরাদ্ধে টেন্ডার আহবান করা হয়। এতে কাজটি পায় নাটোর মোহনপুরের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স গোলাপ কনস্ট্রাকশন।
কাজ তিনটি হলো ক) বৃ-চাপিলা – ধানুড়া রাস্তার (বৃ-চাপিলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সংযোগ সড়ক) ২০০ মিটার, খ) ওয়াপদাঘাট বাজার-শ্যামপুর হাট রাস্তা (চন্দ্রপুর-১ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সংযোগ সড়ক) ৫০০ মিটার এবং গ) বামনবাড়ীয়া - যোগেন্দ্রনগর রাস্তা (বামনবাড়িয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সংযোগ সড়ক) ৬৭৫ মিটার। ওই তিন রাস্তায় যথাক্রমে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১৩ লাখ, ৩২ লাখ এবং ৪৪ লাখ টাকা।
২০১৮ সালের ২৫ অক্টোবর স্থানীয় সাংসদ ওই তিনটি কাজের উদ্বোধন করেন। এক হিসাবে জানা গেছে, ২০০ মিটার এইচবিবি রাস্তা নির্মাণে প্রায় ৫০ হাজার ইট প্রয়োজন হয়।ইউনিয়ন পরিষদ সূত্রে জানা যায়, বৃ-চাপিলা – ধানুড়া রাস্তার (বৃ-চাপিলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সংযোগ সড়ক) ২০০ মিটার যে প্রকল্প দেওয়া হয়েছে সেখানে ইতিপূর্বে এইচবিবি করণের মাধ্যমে রাস্তা নির্মাণ ছিল। ওই প্রকল্পস্থলে এলজিইডি’র অধীনে পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় রাস্তা পাকা করা হচ্ছে।
সরেজমিনে স্থানীয়রা জানায়, বৃ-চাপিলা – ধানুড়া রাস্তাটি (বৃ-চাপিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংযোগ সড়ক) এইচবিবি করন ছিল। ওই রাস্তার এইচবিবি’র ইট তুলে খোয়া তৈরি করা হয়েছে। ওই খোয়া দিয়েই ওই রাস্তার নির্মাণ কাজ করা হচ্ছে।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স গোলাপ কন্সট্রাকশনের স্বত্বাধিকারী পরিচয়ে ফোনে মো. বিদ্যুৎ জানান, ওই এইচবিবি’র ইট বিভাগীয় হওয়ায় ওই রাস্তার কাজে ব্যবহার করা হয়েছে। কোন নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়নি বলে তিনি দাবি করেন।
উপজেলা প্রকৌশলী রতন কুমার ফৌজদার জানান, ওই এইচবিবি রাস্তায় ব্যবহৃত ইট স্টিমেটে ছিল না। তবে এইচবিবি’র ইট তুলে ওই রাস্তার মাথায় বিদ্যালয়ে প্রবেশের রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে বলে জেনেছি।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা