দেশিবিদেশি নানান জাতের ফল নিয়ে রাজধানীর খামারবাড়িতে জমে উঠেছে মৌসুমি ফলের মেলা। গতকাল ছুটি থাকায় মেলার দ্বিতীয় দিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ফলপ্রেমী ও সাধারণ ক্রেতার ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। বিশেষ করে ফ্রেশ ও ভালো মানের আমের চাহিদা ছিল বেশি। রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, সাতক্ষীরা ছাড়াও পাহাড়ি অঞ্চলের আম, আনারস, কলা, ড্রাগন, মাশরুম ও প্রক্রিয়াজাত ফল পাওয়া যাচ্ছে মেলায়। বৃহস্পতিবার কৃষি মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে শুরু হয়েছে এ মেলা, যা আজ শনিবার শেষ হবে।
মেলায় অংশ নিয়েছে ৬৭টি প্রতিষ্ঠান, যার মধ্যে ১০টি সরকারি। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, হর্টিকালচার ফাউন্ডেশন, মাশরুম উন্নয়ন ইনস্টিটিউটসহ সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের গবেষণা, উৎপাদন ও বিপণন কার্যক্রম উপস্থাপন করছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হর্টিকালচার উইংয়ের উপপরিচালক শাহ মো. শহিদুল্লাহ বলেন, নগরবাসীর কাছে দেশি ও নতুন জাতের মৌসুমি ফল পরিচিত করিয়ে দিতেই এ মেলার আয়োজন।
আমের দাম তুলনামূলক কম থাকায় ক্রেতারাও সন্তুষ্ট। চাষিরা বলছেন, এবার ফলন ভালো হওয়ায় বাজারে আমের সরবরাহ বেশি, তাই দাম কম। তবে ব্যবসায়ীদের অনেকে জানান, ঈদের পর মানুষের হাতে অতিরিক্ত টাকা না থাকায় চাহিদা কিছুটা কম। ঢাকার একটি কলেজের শিক্ষক ড. খাইরুল ইসলাম তাঁর ১০-১২ বছরের সন্তানকে নিয়ে মেলায় এসেছেন। তিনি বলেন, ‘এ মেলার মাধ্যমে আমাদের ফলভান্ডার সম্পর্কে জানা যায়। যেহেতু এটা সরকারি আয়োজন, তাই এর মান ও গুরুত্ব বেশি। এখানকার ফলগুলো যাচাইবাছাই করে আনা হয়, যেনতেন কিছু নয়। দামও তুলনামূলক ঠিক রাখা হয়েছে। এর ফলে ফলের বাজার কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এমন মেলা ঢাকার বাইরে দেশের প্রধান শহরগুলোতেও হওয়া দরকার।’ মেলায় হিমসাগর, আম্রপালি, ক্ষীরশাপাতি, গোপালভোগ ও লক্ষ্মণভোগ আম পাওয়া যাচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজিতে। ফলের মান ভালো এবং তুলনামূলক ফ্রেশ, তাই দাম কিছুটা বেশি হলেও মেলায় কেনাকাটা করছেন দর্শনার্থীরা।