ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, আদিবাসী শব্দটি নিয়ে গবেষণা হওয়া উচিত। আদিবাসী নেই, এটা প্রচার করতে পারলে তাদের অধিকারের বিষয়টিও আর থাকে না। গতকাল বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম আয়োজিত ‘সাম্প্রতিক পার্বত্য চট্টগ্রাম পরিস্থিতি ও পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নে করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন। রাজধানীর ধানমন্ডিতে উইমেন্স ভলান্টারি অ্যাসোসিয়েশন (ডব্লিউভিএ) মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, জুলাই আন্দোলনের পর যে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে তাতে সবার অধিকার নিশ্চিতের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু সেখানে আদিবাসীদের অধিকার নিশ্চিতের ক্ষেত্রে অনীহা দেখা যাচ্ছে। সংস্কার কমিশনে আদিবাসীদের দীর্ঘদিনের দাবি সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে সাধারণ মানুষের মধ্যে আদিবাসীদের অধিকার স্বীকৃতির ক্ষেত্রে ঐকমত্য আছে।
ড. ইফতেখার বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠায় আরও উদ্যোগ নিতে হবে। পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের পথরেখা, কিংবা অন্তত মৌলিক কিছু ক্ষেত্রে বৈষম্যমুক্ত, সমানাধিকারভিত্তিক আদিবাসীবান্ধব সমাজ গঠনে সুনির্দিষ্ট কৌশল গ্রহণ প্রয়োজন। তিনি আরও বলেন, ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ভূমিকা ছিল উল্লেখযোগ্য। কিন্তু দুঃখজনকভাবে তাদের অধিকার নিশ্চিত করতে এখনো অনীহা পরিলক্ষিত হচ্ছে। আদিবাসী ফোরামের সহসভাপতি অজয় এ মৃর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন আন্দোলনের যুগ্ম সমন্বয়কারী ড. খায়রুল ইসলাম চৌধুরী, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং, এএলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা। সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন লেখক ও অধিকারকর্মী সতেজ চাকমা।