দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলায় সিজারিয়ান অপারেশনের সময় আশা মনি নামে এক প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। পরিবার ও স্থানীয়দের অভিযোগ, চিকিৎসক ও ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের চরম অবহেলা এবং গাফিলতির কারণেই এই মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
জানা গেছে, শুক্রবার (২০ জুন) প্রসবজনিত জটিলতা দেখা দিলে বীরগঞ্জ পৌর শহরের বলাকা মোড় এলাকার চা দোকানি অতুলের ছেলে হৃদয়ের স্ত্রী আশা মনিকে ভর্তি করা হয় স্থানীয় একটি ক্লিনিকে। এরপর সিজারিয়ান অপারেশন চলাকালেই তার মৃত্যু হয় বলে দাবি করেন স্বজনরা।
তবে ঘটনা ধামাচাপা দিতে মরিয়া হয়ে ওঠে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ ও অপারেশনের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক ডা. ইয়াসমিন। তড়িঘড়ি করে মৃতদেহ দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে তাকে ‘সুস্থ রোগী’ হিসেবে উপস্থাপনের চেষ্টা করা হয়। সেখানে কাগজপত্রে ভর্তি দেখিয়ে সময়ক্ষেপণ ও বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছে।
এ খবর ছড়িয়ে পড়তেই উত্তাল হয়ে ওঠে পুরো বীরগঞ্জ। পরে স্বজন ও এলাকাবাসী ক্লিনিকটি ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেন এবং অনশন কর্মসূচি শুরু করেন।
স্বজন ও বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসীর দাবি, সংশ্লিষ্টদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে তারা চান, যেন আর কোনো মা চিকিৎসকের গাফিলতায় এমন মর্মান্তিক পরিণতির শিকার না হন।
অভিযোগ রয়েছে—ঘটনার পরপরই অভিযুক্ত চিকিৎসক, ক্লিনিক মালিকসহ সংশ্লিষ্ট সবাই গা-ঢাকা দিয়েছেন।
সিজারিয়ান অপারেশনে জন্ম নেওয়া নবজাতকটি সুস্থ রয়েছে বলে জানিয়েছে আশা মনির পরিবার।
বিডি প্রতিদিন/নাজিম