ঠাকুরগাঁওয়ে কোল্ড স্টোরেজের নির্গত গ্যাসে ৩০ একর জমির ফসল ক্ষতির মুখে পড়েছে। কৃষকের আবাদকৃত মরিচ, গম, মিষ্টি কুমড়া ও আম লিচুসহ বেশ কিছু গাছ পুড়ে গেছে। এ ঘটনার পর জনপ্রতিনিধি ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাগণ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করেছেন। মঙ্গলবার ভোর রাতে সদর উপজেলার আকচা ইউনিয়নের বলদিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ ভোর রাতে পাশেই অবস্থিত আমানত কোল্ডস্টোরেজ প্রাইভেট লিমিটেড থেকে গ্যাস নির্গত হলে পুরো এলাকায় তা ছড়িয়ে পড়ে। এ অবস্থায় অনেকে বাড়ি ঘর ছেড়ে অন্যত্র রাত্রি যাপন করে। পরে সকালে জমিতে গিয়ে দেখতে পায় তাদের কষ্টের ফসল পুড়ে গেছে। জনপ্রতিনিধিদের অবহিত করা হলে প্রশাসনের উদ্যোগে দুপুরে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাগণ জমি পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকের তালিকা তৈরি করেন। তালিকা তৈরি হলেও ঋণ মহাজনের টাকা পরিশোধ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন কৃষকরা।
আমানত কোল্ড স্টোরেজ এর কর্মচারি আব্দুল জব্বার জানান, হঠাৎ করে রাতে গ্যাসের পাইপ লাইন ছিদ্র হয়। এ কারণে দ্রুত গ্যাস ছড়িয়ে পড়ে। পরে ফায়ার সার্ভিসকর্মীদের খবর দিলে তারা এসে প্রায় ৪ ঘণ্টা পর তা বন্ধ করে। এটি একটি দুর্ঘটনা বলে স্বীকার করেন তিনি।
সদর উপজেলার আকচা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জানান, কোল্ডস্টোরেজের গ্যাসের কারণে স্থানীয়দের অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে আধুনিক সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধানে একটি টিম সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শিশুসহ সব বয়সীদের চিকিৎসা প্রদান করেন। এছাড়া এ এলাকার কৃষকরা খুব গরীব আমরা চাই তারা যেন ক্ষতিপূরণ পায়।
সদর উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা দিদারুল ইসলাম জানান, আমরা এ পর্যন্ত প্রায় ৭০ জন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের তালিকা তৈরি করেছি। তাদের প্রায় ৩০ একর আবাদি জমির ফসল পুড়ে গেছে নির্গত গ্যাসের কারণে। আমরা এই তালিকা উপজেলা প্রশাসন বরাবরে জমা দিবো। তারা তখন ব্যবস্থা নিবেন।
আর আমানত কোল্ড স্টোরেজের মালিক আব্দুল্লাহ জানান, এটি দুর্ঘটনা। রাতে পাইপ ফেটে গ্যাস নির্গত হলে তাৎক্ষণিকভাবে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বিষয়টি তদন্ত করছেন প্রশাসন। তদন্ত সাপেক্ষে আমরা স্থানীয়দের সাথে বসে বিষয়টি সুরাহা করবো।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা