বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে চুরির উদ্দেশে চেতনানাশক স্প্রে ব্যবহার করায় সন্তানসম্ভবা শিক্ষিকাসহ এক পরিবারের পাঁচ জন অজ্ঞান হয়েছেন। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টার দিতে কুঠিবাড়ি এলাকার ভাড়াটিয়া প্রভাষক আল আমিনের বাড়িতে চুরির উদ্দেশে চেতনানাশক স্প্রে ছুঁড়ে দুর্বৃত্তরা।
এ ঘটনায় বুধবার বেলা ৯টার দিকে কচুয়ার মাধবকাঠি আহ্মদিয়া ফাজিল মাদরাসার প্রভাষক আল আমিন (৪৫), তার সন্তানসম্ভবা স্ত্রী কাঠালতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা নাজমা বেগম (৩৮), ছেলে হাসনাইন (৪), শাশুড়ি আমেনা ইসলাম (৬৮), শ্যালিকা জেসমিন আক্তার (৩০) ও মাহমুদা আক্তার খুকিকে (৪৫) অজ্ঞান অবস্থায় রাইসা ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
অজ্ঞাত দুত্তর্বৃরা স্প্রে করার পরে দরজা ভেঙে ঘরে ঢোকে। তারা ঘর থেকে কি মালামাল নিয়েছে তা এখনো জানা যায়নি। একই সময় অধ্যাপক সাহাবুদ্দিন তালুকদারের ঘরের জানালা ভেঙে একটি মোবাইল ফোন ও ৪ হাজার টাকা নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
এর পূর্বে গত রবিবার রাতে বিশারীঘাটা গ্রামের সোহাগ হাওলাদারের ঘরে স্প্রে করে জানালার গ্রিল খুলে মায়ের কোলের মধ্য হতে আড়াইমাস বয়সী শিশু আব্দুল্লাহকে চুরি করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। একই রাতে নিশানবাড়িয়া গ্রামের সালাম হাওলাদার ও আলম হাওলাদারের ঘরে চেতনানাশক স্প্রে দিয়ে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
গত ২৯ ফেব্রয়ারি মধ্য বরিশাল গ্রামের ডা. আব্দুস ছালামের বাড়িতে স্প্রে দিয়ে মালামাল হাতিয়ে নেয় দুর্বৃত্তরা। গেল বছরের জুলাই মাসে ভাষান্দল গ্রামের মাস্টার মজিবর রহমানের বাড়িতে, অক্টোবর মাসে পূর্ব চিপাবারইখালী গ্রামের মেম্বার মিজানুর রহমান ও এআর খান কলেজের উপাধ্যক্ষ আব্দুর রাজ্জাক খানের বাড়িতে চেতনানাশক স্প্রে করে দুর্বৃত্তরা।
রবিবার রাতে সন্তান চুরির ঘটনায় পরে এলাকায় পুলিশের অভিযান চলা অবস্থায় পৌরসভার কুঠিবাড়ি এলাকায় চেতনানাশক স্প্রে দিয়ে এক পরিবারের পাঁচ জনকে অজ্ঞান করার ঘটনায় সকলে হতবাক হয়েছেন। প্রতিটি পরিবারে দেখা দিয়েছে চেতনানাশক স্প্রে আতঙ্ক।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন
