কক্সবাজারের টেকনাফে ‘আইনশৃংখলা বাহিনীর’ পরিচয়ে একদল অস্ত্রধারীরা পান চাষির বসতঘরে ডাকাতি হয়েছে । এসময় বসতঘরে ভাংচুর চালিয়ে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। মঙ্গলবার (১৩ র্মাচ) ভোরে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের হাবিরছড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
এলাকাবাসীরা বলেন, বুধবার ভোর রাতে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের হাবিরছড়ার পান চাষি সৈয়দ কাশিমের বাড়িতে ‘আইনশৃংখলা বাহিনীর’ পরিচয় দিয়ে দরজা খুলতে বলা হয়। এসময় বসতঘরে থাকা চাষি সৈয়দ কাশিম দরজা খুলে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অস্ত্রধারীরা ঘরে ঢুকে মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে ছেলে মেয়েসহ পাঁচ জনকে জিম্মি করে রাখেন। এতে কাশিম চিৎকার করলে তাকে মারধর করে। পরে ঘরের আলমিরাসহ আসবাবপত্র ভাংচুর করে আলমিরাতে থাকা ৫ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
পরে তাদের চিৎকারে আশে পাশের লোকজন এগিয়ে আসেন। এর কিছুদিন আগে প্রশাসন পরিচয়ে একই এলাকার আব্দুল গফ্ফারের ছেলে নূর মিয়ার বাড়ী থেকে এক লাখ ৪০ হাজার নগদ টাকা ও আড়াই ভরি স্বর্ণালংকার লুট করা হয়। এছাড়া পাশ্ববতী মিঠাপানিরছড়ার র্যাব পরিচয়ে মাদ্রাসা শিক্ষক মৃত উমর হামজার ছেলে হাফেজ আব্দুল করিম ও দিন মজুর মৃত বদিউর রহমানের ছেলে আব্দুল আমিনের বাড়ী থেকে ৩ ভরি স্বণালংকা ও নগদ এক লাখ ২০ হাজার টাকা নিয়ে যায়। ইতিমধ্যে পাহাড়ারের পাশ্ববতী এলাকায় আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর পরিচয় দিয়ে একের পর এক ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
ডাকাতির স্বীকার পান চাষি সৈয়দ কাশিম বলেন, ভোর রাতে আইনশৃংখলা বাহিনীর পরিচয়ে কয়েকজন স্বশস্ত্র ডাকাতদল ঘরে দরজা খুলতে বলেন। তিনি দরজার খুলে দিলে অস্ত্রধারী পাচঁ জন লোক ঘরে ঢুকে তাদেরকে জিম্মি করে রাখে। পরে ঘরের আলমিরা ভেঙে ৫ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ এক লাখ ১০ হাজার লুট করে নিয়ে যায়। তাদের পরনে কালো জাকেট ও মুখে কালো কাপড় ছিল। এসময় ঘরের বাহিরে তাদের আরও অস্ত্রধারী লোকজন ছিল। এ ঘটনাটি এলাকার লোকজন ও থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে তাদের এলাকায় আইনশৃঙ্খলাবাহিনী পরিচয় দিয়ে একদল অস্ত্রধারী ডাকাত দল বিভিন্ন বাড়িতে ডাকাতি করে যাচ্ছে। এর মধ্যে বেশ কিছু এলাকর খারাপ লোক জড়িত রয়েছে।’
এদিকে হঠাৎ করে টেকনাফ সদরের কিছু এলাকায় ডাকাতির ঘটনা বেড়ে গেছে। কিছু অস্ত্রধারী লোক পাশ্ববতী পাহাড়ে অবস্থান করে, রাত হলে পাহাড় থেকে নেমে তারা গ্রামে গ্রামে ঢুকে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর পরিচয় দিয়ে এই কাজ করে যাচ্ছেন। এতে গুটা এলাকার মানুষ ভয়ে মধ্যে রাত যাপন করছে। দিন শেষে রাত আসলে এই এলাকার মানুষের মাঝে বিরাজ করে আতঙ্ক।
টেকনাফ মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এবিএমএস দোহা বলেন, এক বাড়িতে ডাকাতির ঘটনার খবর শুনে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ তাফসীর