মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার গঙ্গানন্দপুর বাজার ও মাধবপুর গ্রামে পৃথক সংঘর্ষে ৩০ জন আহত হয়েছে। এ সময় উপজেলা নির্বাচনের জন্য স্থাপিত স্থানীয় আওয়ামী লীগের দু’টি কার্যালয়সহ ১৭টি দোকান ভাঙচুর ও লুটপাট হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ ৭ জনকে আটক করেছে।
মহম্মদপুর থানার ওসি (তদন্ত) লিটন সরকার জানান, এলাকায় আধিপত্য নিয়ে মহম্মদপুরের রাজাপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কাশেম ও একই ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ড সদস্য আব্দুল হালিম মোল্লার সমর্থকদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। রবিবার রাত ৮টার দিকে গঙ্গানন্দপুর বাজারে চায়ের দোকানে কাশেম সমর্থক বাকির সাথে হালিম মোল্লার সমর্থক শফিক এর মধ্যে চায়ের দোকানের একটি বেঞ্চে বসা নিয়ে কথাকাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ঘটনাটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে উভয়পক্ষের লোকজন এ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় ১৫ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে ওহিদুর রহমান (১৫), ইলিয়াস মোল্যা (৪৫), মোসানুর (১৮), বিপুল শিকদার (৩৫), রাসেল হোসেন (৩৪), মোস্তাক হোসেন (৩০), ওহিদুজ্জামান (৩৮) ও তৌহিদুল ইসলাম (৩৫) মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছে।
এ সময় ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ রাসেল হাসান (৩৫), মোস্তাক হোসেন (৩০), ইলিয়াস মন্ডল (৪৫), ওহিদুজ্জামান (৩৮), মুসা নূর (২০), বিপুল শিকদার (৩৫) ও তৌহিদুল ইসলাম (৩৫) নামে ৭ জনকে আটক করে।
এদিকে উপজেলার মাধবপুর গ্রামে পাওনা টাকা নিয়ে রবিবার সন্ধ্যায় দু’দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষ হয়েছে। এতে কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে। যাদের মধ্যে ৬ জনকে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় বাবুখালী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হিজবুল আলম জানান, বাবুখালীর মাধবপুর গ্রামের রিকাবুল ইসলামের কাছে সামান্য কিছু টাকা পেত পার্শ্ববর্তী চর মহেশপুর গ্রামের আলী আহমেদ। এই টাকা আদায়ের ঘটনা নিয়ে রিকাবুলের সাথে শনিবার রাতে হাতাহাতি হয় আলী আহমেদসহ অন্যদের। পরবর্তীতে আলী আহমেদের লোকজন ওই রাতে ডুমুরশিয়া বাজারে রিকাবুলের ভাই জামালকে মারপিট করে। এ ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে রবিবার সন্ধ্যায় রিকাবুল ও আলী আহমেদের সমর্থকদের মধ্যে কয়েক দফা হামলা পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে। এতে ১৫ জন আহত হয়।
আহতদের মধ্যে উবাইদুল (৪০), বাবুল (৩৮), জহুর মিয়া (৪৫), লাবু (৪০), মহম্মদ আলী (৪৫), তকব্বর (৩৯) এ ৬ জনকে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল