কক্সবাজারের টেকনাফে কোস্টগার্ড ও বিজিবি পৃথক অভিযান চালিয়ে ২০ হাজার ৯১৫ পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে। এ সময় এক ইয়াবা পাচারকারীকে আটক করা হয়।
সোমবার বাংলাদেশ কোস্টগার্ড পূর্ব জোনের অধীনস্থ সহকারী পরিচালক (গোয়েন্দা) লে. কমান্ডার এম হামিদুল ইসলাম বিএন এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রবিবার রাতে টেকনাফের মেরিনড্রাইভ নোয়াখালী পাড়া এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে মো. গিয়াস (৪৫) নামের একজন মাদক পাচারকারীকে ১ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ আটক করা হয়।
তিনি আরো জানান, মো. গিয়াস উদ্দিন দীর্ঘদিন যাবত মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত ছিল। জব্দকৃত ইয়াবা ট্যাবলেটও আটককৃত মাদক পাচারকারীকে পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য টেকনাফ থানায় হস্তান্তর প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
এদিকে স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে গিয়াস উদ্দিনসহ নোয়াখালী পাড়া এলাকার ছৈয়দুর রহমানে ছেলে আব্দুর রহমানের নেতৃত্বে একটি ইয়াবার সিন্ডিকেট মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। প্রকৃত ইয়াবা কারবারীদের শনাক্ত করে আরো জোরদার অভিযান চালানো দরকার বলে জানিয়েছেন সচেতনমহল।
এছাড়া অপরদিকে টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক (ভারপ্রাপ্ত) লেফট্যানেন্ট কর্নেল সরকার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ৮ এপ্রিল সোমবার ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) এর অধীনস্থ লেদা বিওপিতে কর্মরত হাবিলদার মো. খোরশেদ আলম এর নেতৃত্বে একটি টহল দল সেনাবাহিনীর সাথে যৌথ টাস্কফোর্স অভিযানে জাদিমোরা এলাকায় গমন করে। টহলকালীন সময়ে দূর থেকে জাদিমোরা ব্রিজের উপর একজন ব্যক্তিকে ব্যাগ হাতে ঘোরাফেরা করতে দেখতে পায়। ওই ব্যক্তি সেনাবাহিনী-বিজিবি’র টহলদল দেখতে পেয়ে তার হাতে থাকা ব্যাগটি ফেলে অন্ধকারের সুযোগে দ্রুত পার্শ্ববর্তী জঙ্গলার্কীণ এলাকায় পালিয়ে যায়।
পরে টহলদল ব্যাগটি উদ্ধার করে ব্যাগের ভিতর থেকে ৫৯ লাখ ৭৪ হাজার ৫শ' টাকা মূল্যমানের ১৯ হাজার ৯১৫ পিছ ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করতে সক্ষম হয়। জব্দকৃত ইয়াবা ট্যাবলেটগুলো ব্যাটালিয়ন সদরে জমা রাখা হয়েছে, যা পরবর্তীতে উর্দ্ধতন কর্মকর্তা, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও মিডিয়া কর্মীদের উপস্থিতিতে ধ্বংস করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল