লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার মহিলা কলেজ কেন্দ্রে ১৮ জন ও সরকারি কলেজ কেন্দ্রে ১৫ জন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীকে অসৎ উপায় অবলম্বনের দায়ে ববহিষ্কার করা হয়েছে।
বহিষ্কারকৃত শিক্ষার্থীরা কলেজ অধ্যক্ষদের প্রতিহিংসার শিকার বলে দাবি করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের নিচে দুই ঘণ্টাব্যাপী অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা।
সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ (ভার.) ও কেন্দ্র সচিব হাবিবুর রহমান বলেন, ‘সোমবার (৮ এপ্রিল) পরীক্ষা চলাকালীন কক্ষ পরিদর্শনের সময় বেলা ১২ টা ৩৫ মিনিটে দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও সহকারি সচিব ১৫ পরীক্ষার্থীর নিকট ফটোকপি নকল পেয়ে খাতা জমা নেন। অসৎ উপায় অবলম্বনকারী শিক্ষার্থীদেরকে যথানিয়মে বহিষ্কারকরার নির্দেশ দেন।’
মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ ও কেন্দ্র সচিব মিজানুর রহমান নিলু বলেন, ‘পরীক্ষার শেষ সময়ের দিকে কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে ম্যাজিস্ট্রেট সুইচিং মং মারমা চলে যাওয়ার কিছু সময়ের মধ্যে পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ১৮ জন শিক্ষার্থীদের নিকট একই ধরণের নকল পেয়ে কক্ষ পরিদর্শকগণ তাদেরকে বহিষ্কার করেন।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক পরীক্ষার্থী সাংবাদিকদের নিকট নকল করার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, কী জন্যে বহিষ্কার করা হয়েছে এটা আমরা জানি না। কলেজের অধ্যক্ষদের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বলি হতে হল আমাদেরকে। আমরা শিক্ষামন্ত্রীর হস্তক্ষেপ ও ঘটনার সঠিক তদন্ত দাবি করছি।
শিক্ষার্থীদের অবস্থানের কারণে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল করিম পাটগ্রাম সরকারী কলেজ, মহিলা কলেজ ও আদর্শ কলেজের অধ্যক্ষ, কেন্দ্র সচিব, দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও সহকারি সচিব এবং ম্যাজিস্ট্রেটসহ দেড় ঘণ্টাব্যাপী রুদ্ধদার বৈঠক করেন। বৈঠকে বহিস্কৃতের ঘটনায় কোনো সুরাহা হয়নি।
দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মানিক হোসেন ও সহকারি সচিব ইব্রাহিম আজাদ জানান, ‘সোমবার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা চলাকালীন পাটগ্রামের দুটি কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শনের সময় ৩৩ পরীক্ষার্থীর নিকট নকল পেয়ে তাদের খাতা কেন্দ্র সচিবের নিকট জমা দিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়।’
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার