নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ধর্ষণের শিকার হয়ে চিকিৎসাধীন থাকা ছয় সন্তানের জননীকে ছুটি দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এক সপ্তাহ চিকিৎসা শেষে সোমবার বিকালে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল ছাড়েন তিনি। এ সময় নির্যাতিতার সঙ্গে হাসপাতালে গিয়ে দেখা করে সকল প্রকার নিরাপত্তার আশ্বাস দেন জেলা প্রশাসক তন্ময় দাস।
এ দিকে আসামিদের স্বজনরা মামলা তুলে নেয়ার জন্য ভিকটিম পরিবারকে নানা ভাবে হুমকি দিয়ে আসছে বলে অভিযোগ করেন ভিকটিমের স্বামী মো. শাহজাহান। তিনি এ বিষয়ে নিরাপত্তা চেয়ে চরজব্বর থানায় ৬ এপ্রিল একটি জিডি করেন। যার নং -৩১২।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা সৈয়দ মহি উদ্দিন আব্দুল আজিম জানান, ইতোমধ্যে নির্যাতিতার সকল শারীরিক পরীক্ষা শেষ করে রিপোর্ট পুলিশ সুপার কার্যালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। তার শারীরিক অবস্থার বেশ উন্নতি হয়েছে। তিনি বর্তমানে শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকায় তাকে হাসপাতাল থেকে ছুটি দেয়া হয়েছে।
এ দিকে নির্যাতিতা হাসপাতাল থেকে ছুটি পাওয়ার কথা শুনে বিকেলে তাকে দেখতে যান জেলা প্রশাসক তন্ময় দাস। এ সময় তিনি নির্যাতিতা ও তার পরিবারের সদস্যদের সকল প্রকার নিরাপত্তা প্রদানের আশ্বাস দেন। এ মামলায় এ পর্যন্ত এজাহারভূক্ত ৮ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত রবিবার (৩১ মার্চ) রাতে স্থানীয় চরজব্বার বাজার থেকে স্বামীর মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি ফেরার পথে ইউসুফ মাঝি ও বেচু মাঝির নেতৃত্বে ১০-১২জন নির্যাতিতার স্বামীর মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে মারধর করে। পরে তার স্বামীকে এক পাশে আটকে রেখে তাঁকে বেচু মাঝি, ফজলু ও আবুল বাসার পাশের কলা বাগানে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ওই রাতে তাদের নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান। পরের দিন নির্যাতিতার স্বামী ৮ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরো চারজনসহ মোট ১২ জনকে আসামি করে চরজব্বার থানায় মামলা দায়ের করেন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল