বগুড়ার শেরপুরে টহল পুলিশের ওপর চরমপন্থী দলের সদস্যরা হামলা চালিয়েছে। হামলায় শেরপুর থানা পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) নান্নু মিয়া (৪২) গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
সোমবার দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে শেরপুর উপজেলার দুর্গম এলাকা ভবানীপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
শেরপুর থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সিএনজি চালিত অটোরিকশাযোগে সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) নান্নু মিয়ার নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি দল উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের ভবানীপুর বাজার এলাকায় নৈশ্যকালীন টহল দিচ্ছিলেন। রাত পৌনে একটার দিকে ভবানীপুর মন্দির এলাকায় চরমপন্থী দলের সদস্যরা পোস্টারিং করছিলো। এসময় টহল পুলিশের উপস্থিতি দেখে চরমপন্থীরা গুলি ছোঁড়ে, পুলিশও পাল্টা গুলি ছোঁড়ে। এসময় ডান হাঁটুতে গুলিবিদ্ধ হন পুলিশ কর্মকর্তা নান্নু মিয়া।
এদিকে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, চরমপন্থী দলের সদস্যরা সোমবার রাতে ভবানীপুর বাজারে মিটিং করে পোস্টারিং করে। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে চরমপন্থীরা কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে এবং গ্রামের শাহাবুদ্দিন নামের এক ব্যক্তির বাড়ি ঘেরাও করে। পুলিশ ওই বাড়িতে গেলে তাদেরকে অবরুদ্ধ করে ফেলে ওই চরমপন্থীরা । এসময় পুলিশ তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়লে তারাও ৭রাউন্ড পাল্টা গুলি ছোঁড়ে। এতে পুলিশ কর্মকর্তা নান্নু মিয়া গুলিবিদ্ধ হন।
শাহাবুদ্দিনের ছেলে সাগর বলেন, চরমপন্থীদের সন্দেহ তারা বাবা পুলিশকে খবর দিয়েছে। এ কারণে তারা পুলিশসহ তাদের বাড়ি ঘেরাও করে। এসময় চরম পন্থীদের লাগানো পোস্টার তারা নিজেরাই ছিঁড়ে ফেলে চলে যায়। পরে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গুলিবিদ্ধ নান্নুমিয়াসহ তিন পুলিশকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
ভবানীপুর বাজার এলাকায় চরমপন্থীদের লাগানো ওইসব পোস্টারে লেখা ছিল পাবনায় কয়েকটি বিপ্লবী সংগঠনের নামে রাষ্ট্রীয় চক্রান্তে ৬১৪জন সদস্যের নাটকীয় আত্মসমর্পণকে প্রত্যাখ্যান করুন -মার্কসবাদ, লেনিনবাদ জিন্দাবাদ।
বগুড়ার শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ন কবির জানান, গুলিবিদ্ধ পুলিশ কর্মকর্তা নান্নু মিয়াকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাত ৩টার দিকে ঢাকায় পাঠানো হয়।
বিডি প্রতিদিন/কালাম
