টাঙ্গাইল শহরের বড় পুকুরে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে দীপক কুমার সরকার নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। অন্য ঘটনায় মাজহারুল ইসলাম মাসুদ নামে এক শিক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার সকালে শহরের বড় পুকুর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি বাসাইল পশ্চিম পাড়া গ্রামের মৃত মুধসুধন সরকারের ছেলে। নিহতের ভাই প্রদীপ কুমার সরকার বলেন, দীপক কুমার সরকার শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় শিমুল জেন্টস পার্লারে কাজ করতো। শুক্রবার কাজ শেষে গভীর রাত হওয়ার কারণে ওই পার্লারেই রাত্রিযাপন করেন। সকালে পুকুরে গোসল করতে নামলে কিছুক্ষণ পর তার লাশ পানিতে ভেসে ওঠে। পরে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে তার লাশ উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।
টাঙ্গাইল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সায়েদুর রহমান জানান, এ বিষয়ে টাঙ্গাইল মডেল থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
অন্যদিকে শুক্রবার রাতে টাঙ্গাইল শহরের থানা পাড়া শান্তিকুঞ্জ মোড় এলাকার মো. শফিকের চারতলা ভবন থেকে মাজহারুল ইসলাম মাসুদ নামে এক শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশের দাবি আত্মহত্যা করে মারা গেছে শিক্ষার্থী। এদিকে পরিবারের সদস্যের অভিযোগ মাসুমকে হত্যা করে তার কক্ষে রাখা হয়েছে। সে সরকারি মাওলানা মোহাম্মদ আলী কলেজের উদ্ভিদ বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ও ময়মনসিংহ ত্রিশাল মধ্যপাড়া এলাকার তাজুল ইসলামের ছেলে।
মাসুদের বড় ভাই আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, মৃত্যুর সংবাদে টাঙ্গাইল চলে আসি। আমার ভাইয়ের দুই হাতে ও দুই পায়ে এবং গলায় সাদা কস্টেপ পেঁচানো আছে। আমার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে। এর আগেও আমার ভাই মাসুদকে একাধিকবার মোবাইল ফোনে হুমকি প্রদান করলে টাঙ্গাইল মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছিলো। এর পর রাতে আমার ভাইকে হত্যা করে। আমি ভাইয়ের হত্যার বিচার দাবি করছি।
টাঙ্গাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সায়েদুর রহমান জানান, প্রাথমিকভাবে এটাকে আত্মহত্যা বলে মনে করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল