পটুয়াখালীর গলাচিপায় জমি সংক্রান্ত ও পূর্ব শত্রুতার জেরে রহিমা বেগম (৩৭) নামের এক গৃহবধূ প্রতিপক্ষের হামলার শিকার হয়েছেন। গৃহবধূ রহিমা উপজেলার গলাচিপা সদর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের রতনদী গ্রামের মু. জাকির হোসেন চৌকিদারের স্ত্রী। শনিবার সকাল সাড়ে ৮ টায় গৃহবধূ রহিমা বেগমের নিজ বসত ঘরে এ ঘটনা ঘটে।
হামলাকারীরা হলেন একই বাড়ির মু. রশিদ চৌকিদারের ছেলে সেকান্দার চৌকিদার, আব্দুল রাজ্জাক চৌকিদারের ছেলে কাদের চৌকিদার, মু. নয়া চৌকিদারের ছেলে ইব্রাহীম চৌকিদার, মৃত আদম আলী চৌকিদারের ছেলে রাজ্জাক চৌকিদার, মু. এমাদুল মাঝির ছেলে হাসান মাঝি, মু. রশিদ চৌকিদারের ছেলে শাহজাহান চৌকিদার, রাজ্জাক চৌকিদারের মেয়ে হাসি বেগম, মু. শাহজাহান চৌকিদারের স্ত্রী জরিনা বেগম, মু. কাদের চৌকিদারের স্ত্রী জেসমিন বেগম, মু. খালেক চৌকিদারের স্ত্রী রেনু বেগম, ইব্রাহীম চৌকিদারের ভগ্নিপতি বেল্লাল হোসেন, বেল্লাল হোসেনের স্ত্রী রিনা বেগম, মু. রশিদ চৌকিদারের মেয়ে শাহিনুর বেগম।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, রহিমা বেগম সকালে নিজ বসত ঘরের পূর্ব পাশে ৬৩৭ নং খতিয়ানের ৪৪০৯ নং দাগ থেকে স্বামীর বন্টনকৃত জায়গা থেকে চুলা লেপার (প্রলেপের) জন্য মাটি আনতে গেলে প্রতিপক্ষরা গৃহবধূকে ধাওয়া করে। তখন গৃহবধূ আত্মরক্ষার জন্য দৌড়ে গিয়ে নিজ বসত ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে। হামলাকারীরা ঘরের আসবাপত্র ভাংচুর করে গৃহবধূকে টেনে হিঁচড়ে বাহিরে এনে হাতুড়ি ও লাঠি দিয়ে বেদম প্রহর করে। এতে গৃহবধূ অচেতন হয়ে মাটিতে পড়ে থাকে। পরে এলাবাবাসীরা গৃহবধূকে উদ্ধার করে গলাচিপা থানায় এনে তদন্ত ওসি এসআই মু. হুমায়ুন কবির ও এসআই মু. নজরুল ইসলামকে দেখাইয়া গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
গৃহবধূ রহিমা বেগম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ২য় তলায় ডা. মো. মেজবাহ উদ্দিনের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন আছেন। এ বিষয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক বলেন, গৃহবধূর কপালে, বুকে, পিঠে, কোমড়ে, উরুতে, কাঁধে ও বাম হাতের কবজিতে লাঠির আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
এ ব্যাপারে গৃহবধূ রহিমা বেগম বলেন, আমি সকালে চুলা লেপার জন্য মাটি আনতে গেলে জরিনা, সেকান্দার, কাদের, ইব্রাহীম, রাজ্জাক, হাসান, শাহজাহান, হাসি, জেসমিন, রেনু, বেল্লাল, রিনা, শাহিনুর এরা সকলে মিলে আমাকে ধাওয়া করে। পরে এরা সকলে আমাকে ঘর থেকে টেনে উঠানে নামাইয়া এলাপাথারীভাবে হাতুড়ি ও লাঠি দিয়া আমাকে আঘাত করে। ওরা সকলে আমাকে ঝাপটে ধরে রাখলে জরিনা হাতুড়ি দিয়া আমার কপালে আঘাত করে। এরপর আমার আর কিছু মনে নাই।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ তাফসীর