পিয়াজ যেন সোনার হরিণ। বাজারে পিয়াজের ঝাঁজ কোন ক্রমেই কমছে না। একটু লাভের আশায় চলনবিলের কৃষকেরা এবার বেশি জমিতে আগাম জাতের ডাটি পিয়াজ রোপন করেছেন। কিন্তু পিয়াজ লাগিয়ে রীতিমতো বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। প্রতিদিন চোরের দল ক্ষেত থেকে পিয়াজ চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। দিশেহারা হয়ে রাত জেগে কুপি বাতি জ্বালিয়ে ক্ষেত পাহারা দিচ্ছেন কৃষকরা।
সরেজমিনে চলনবিল অধ্যুষিত তাড়াশ উপজেলার নাদোসৈয়দপুর, হেমনগর, চর-হামকুড়িয়া ও কাঁটাবাড়ি গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, অনেক কৃষক ডাটি পিয়াজ রোপন করেছে। কৃষকরা দিনভর ক্ষেতের পরিচর্যা করলেও রাতে কুপি বাতি জ্বালিয়ে ক্ষেত পাহারা দিচ্ছেন। ক্ষেত থেকে রাতের আঁধারে পিয়াজ চুরি হচ্ছে বলে তারা প্রতি রাতে দল বেঁধে ক্ষেত পাহারা দিচ্ছেন।
বামুনগাড়া গ্রামের পিয়াজ চাষি তফের আলী, নূরুল ইসলাম ও ধারাবারিষা গ্রামের কফিল উদ্দিন জানান, প্রতি কেজি গাছ পিয়াজ ১৬০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। এতে লাভবান হচ্ছেন তারা। কিন্তু সম্প্রতি রাতে পিয়াজ চুরির ঘটনা ঘটতে শুরু করেছে। এনিয়ে তারা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। তাই রাত জেগে ক্ষেত পাহারা দিতে হচ্ছে।
নাদোসৈয়দপুর গ্রামের শারমিন খাতুন জানান, ক্ষেত থেকে একটু আড়াল হলেই পিয়াজ চুরি হয়ে যাচ্ছে। খুব দুশ্চিন্তায় আছি। ধামাইচ গ্রামের বাসিন্দা প্রভাষক আবু হাশিম খোকন জানান, আগে কখনো পিয়াজ চুরির ঘটনা ঘটেনি। আগে কৃষকরা পিয়াজের পাতা ক্ষেতেই ফেলে দিতো। কিন্তু বর্তমানে পিয়াজের দাম আকাশ চুম্বি হওয়ায় প্রায়শই চুরির ঘটনা ঘটছে। ক্ষেত থেকে পিয়াজ চুরি হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে এলাকায় মুখরোচক নানা আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক