১৪ ডিসেম্বর, ২০১৯ ১৩:৫৭

সমাধিস্থল পরিষ্কার করে শহীদের প্রতি গণমাধ্যমকর্মীদের শ্রদ্ধা

নাজমুল হুদা, সাভার

সমাধিস্থল পরিষ্কার করে শহীদের প্রতি গণমাধ্যমকর্মীদের শ্রদ্ধা

মহান মুক্তিযুদ্ধে সম্মুখ সমরে পাকিস্তান বাহিনীর বুলেটে প্রাণ দিয়েছিলেন কিশোর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম দস্তগীর টিটো। ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর টিটোর রক্তের বিনিময়ে হানাদার মুক্ত হয় সাভার। 

কিন্তু বিজয়ের ৪৮ বছরে সাভার মুক্ত দিবসে অকুতোভয় সেই বীর কিশোর মুক্তিযোদ্ধার সমাধিস্থলটি পড়ে রয়েছে অনেকটাই অবহেলায়। ১৯৯৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর নবম পদাতিক ডিভিশনের প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল মুহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে ডেইরিগেট এলাকায় শহীদ টিটোর সমাধির ফলক উন্মোচন করেন। 

তবে এরপর থেকেই স্বাধীনতার এই বীর শহীদের সমাধিটির ব্যাপারে নজর নেই স্থানীয় প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা ও রাজনৈতিক নেতাসহ সংশ্লিষ্টদের। ১৪ ডিসেম্বর সাভার মুক্ত দিবসে প্রতি বছর শুধু স্থানীয় সাংবাদিকরা এই সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাতে আসলেও খোঁজ মেলে না প্রশাসনের। এমনকি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাও জানেন না টিটোর সমাধিটির কথা। পরবর্তীতে সাংবাদিকরা তাকে এ বিষয়ে অবগত করলেও সাভার মুক্ত দিবসে শ্রদ্ধা জানাতে আসেনি প্রশাসনের কেউই। 

সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পারভেজুর রহমান জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি ঢাকায় মিটিংয়ে আছি। 

প্রতি বছরের ন্যায় ১৪ ডিসেম্বর সাভার মুক্ত দিবসে স্থানীয় সাংবাদিকরা নিজ উদ্যোগে শহীদ টিটোর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাতে এসে দেখেন জাতির এই বীর সন্তানের সমাধিটির নাজুক অবস্থা। ধুলাবালি আর মশলা আবর্জনায় শ্রদ্ধা জানানোর পরিবেশ নেই সেখানে। তাই সাংবাদিকরাই ধুয়ে-মুছে পরিচ্ছন্ন করে সেখানে শ্রদ্ধা জানান। 

২ নং সেক্টর কমান্ডার ও সাভার উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা চেতনা বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি মো. আইনুদ্দিন জানান, মহান মুক্তিযুদ্ধে কিশোর মুক্তিযোদ্ধা টিটোর আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে সাভার হানাদার মুক্ত হয়। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখ ও পরতাপের বিষয় হলেও এটা সত্যি যে, বিজয়ের ৪৮ বছরেও সাভার হানাদার মুক্ত দিবস পালনে উপজেলা প্রশাসনের কোন উদ্যোগ নেই। এমনকি শহীদ টিটোর সমাধিতেও জানানো হয় না শ্রদ্ধা। 

সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসিনা দৌলা জানান, পারিবারিক কাজে আমি ব্যস্ত থাকার কারণে ওখানে (শহীদ টিটোর সমাধি) যাওয়া সম্ভব নয়। 

কেন উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাভার হানাদার মুক্ত দিবস পালন করা হয় না সে ব্যাপারে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমানের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।

বিডি প্রতিদিন/ফারজানা

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর