কুষ্টিয়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের একটি কক্ষে ১৮ জন (এসএসসি) পরীক্ষার্থী ২০১৮ সালের প্রশ্নপত্রে (অবজেক্টিভ) পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়েছে। পরে বিকেলের দিকে ওইসব পরীক্ষার্থীদের বাড়ি থেকে ডেকে এনে পুনরায় পরীক্ষা নেয়া হয়। এদিকে, ভুল প্রশ্নে পরীক্ষা গ্রহণের বিষয়টি ধামাচাপা দিতে তোড়জোড় শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ।
কেন্দ্রসচিব ও কুষ্টিয়া সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোজাম্মেল হক দাবি করেন, বোর্ড থেকে সরবরাহ করা বাংলা প্রথমপত্র নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নের একটি প্যাকেটে ভুলক্রমে ২০১৮ সালের প্রশ্নপত্র সরবরাহ করা হয়েছে। শিক্ষকরা বিষয়টি প্রথমে বুঝতে পারেনি। পরীক্ষা শেষে খাতা যাচাই-বাছাইয়ের সময় ভুলটি ধরা পড়ে। তার দাবি, বোর্ড থেকে সরবরাহ করা একটি খামে ২০টি প্রশ্নপত্র সরবরাহ করা হয়েছিল। সেখানে ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ছিল। তিনি দাবি করেন ইতিমধ্যে যারা ভুল প্রশ্নে পরীক্ষা দিয়েছে তাদের পুনরায় পরীক্ষা নেয়া হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কুষ্টিয়া সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকা বলেন, ১৮ জন পরীক্ষার্থী এই ভুল প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দিয়েছেন। তাদের মধ্যে ১২ জন সিরাজুল হক মুসলিম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং ছয়জন কুষ্টিয়া জেলা স্কুলের শিক্ষার্থী।
এদিকে অভিযোগ উঠেছে, ভুল প্রশ্নে পরীক্ষা গ্রহনের বিষয়টি ধামাচাপা দিতে তোড়জোড় শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ।
এ ব্যাপারে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক, শিক্ষা ও আইসিটি) আজাদ জাহান বলেন, ঘটনাটি শুনে আমি এই স্কুলে এসেছি, তদন্ত করে বলতে পারব কি ঘটেছে।
কুষ্টিয়া সরকারী বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় ১২০০ শিক্ষার্থী অংশগ্রহন করছে। ভুলপ্রশ্নে পরীক্ষা গ্রহনের ঘটনায় এই কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার