নাটোরের বড়াইগ্রামের জোয়াড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সেকেন্দার আলী বিভিন্ন শ্রেণিতে অধ্যয়নত ২২ ছাত্রের চুল কেটে অবশেষে বরখাস্ত হলেন। রবিবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনোয়ার পারভেজ অভিভাবকদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ, দায়িত্বে ফাঁকি এবং চুল কাটাসহ বিভিন্ন অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়।
অভিভাবকেরা জানান, ৩ ফেব্রুয়ারি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বার্ষিক শিক্ষা সফরে যাওয়ার পরিকল্পনা নেয়। প্রধান শিক্ষক এ জন্য ছাত্রদের চুল ছোট করে কাটার নির্দেশ দিলেও শিক্ষা সফরের আগের দিন তিনি বিদ্যালয়ে এসে দেখেন অনেকেই চুল ছোট করেনি। এতে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে বিভিন্ন শ্রেণির ২২ ছাত্রকে ধরে এনে পর্যায়ক্রমে নিজের হাতেই চুল কেটে দেন। এ সংবাদ অভিভাবকরা জানতে পেরে বিদ্যালয়ে ছুটে আসেন ও প্রধান শিক্ষককে অবরুদ্ধ করে রাখেন।
সংবাদ পেয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলিপ কুমার দাসসহ পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে ইউএনও আনোয়ার পারভেজ ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রউফ ঘটনাস্থলে এসে প্রধান শিক্ষক সেকেন্দার আলীকে সাময়িক বরখাস্ত করেন।
ইউএনও আনোয়ার পারভেজ জানান, প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের জমি বন্ধক রেখে টাকা আত্মসাৎ, অবৈধভাবে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিদ্যুৎ বিল আদায়, বিদ্যালয়ে নিয়মিত না আসাসহ বিভিন্ন অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ অভিযোগ তদন্ত করার জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বভার (ভারপ্রাপ্ত) দেওয়া হয়েছে সহকারী প্রধান শিক্ষক রতন কুমার সরকারকে। আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে তদন্ত রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন