দিনাজপুরে সাকিব আহমেদ (১৭) নামে এক এসএসসি (ভোকেশনাল) পরীক্ষার্থীকে অপহরণের পর ২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করার ঘটনায় ৪ যুবককে আটক করেছে পুলিশ। মুক্তিপণ দাবি করলে অপহৃত ওই শিক্ষার্থীর মামা মো. লুৎফর রহমান ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে পুলিশের সাহায্য চাইলে দিনাজপুরে অভিযান চালিয়ে ওই ৪ জনকে আটক এবং অপহৃতকে উদ্ধার করা হয়।
আটকরা হলেন- দিনাজপুর সদর উপজেলার শহরের ফকিরপাড়া এলাকার মো. রনি ইসলাম (২১), মো. মনিরুল ইসলাম (২২), মো. জিল্লুর মেহিদী (১৯) ও মো. মামুন হোসেন (১৯)।
এ ঘটনায় অপহৃত এসএসসি পরীক্ষার্থীর মামা মো. লুৎফর রহমান বাদী হয়ে গত শনিবার রাতে দিনাজপুর কোতোয়ালি থানায় ৭ জনসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৪ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছেন।
মো. লুৎফর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, 'অপহরণকারীদের মোবাইল থেকে আমাকে ফোন করে তারা বলে, তোমার ভাগনে আমাদের কাছে আটক আছে। যদি তোমার ভাগনেকে বাঁচাতে চাও তাহলে ২ লাখ টাকা নিয়ে আত্রাই নদীর পশ্চিমপাড়ে কবরস্থানের পাশে চলে এসো। বিষয়টি শোনার পর আমি সরকারি ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে পুলিশের সহায়তা চাই।'
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানা-পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ছোবহান বলেন, আমরা খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে ঘেরাও করি। উপস্থিতি টের পেয়ে ৩ জন পালিয়ে গেলেও বাকি ৪ জনকে আটক করতে সক্ষম হই। পরে সেখান থেকে অপহরণকারীদের দুটি মোটরসাইকেলও জব্দ করা হয়। বাকি আসামিদের ধরতেও আমাদের কার্যক্রম চলছে।
কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন মামলার উদ্ধৃতি দিয়ে জানান, গত ৯ ফেব্রুয়ারি দিনাজপুর সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে মো. সাকিব আহমেদ (১৭) নামে এক এসএসসি (ভোকেশনাল) পরীক্ষার্থী গণিত পরীক্ষা দিয়ে বের হয়। এর পর সদরের রাণীগঞ্জ মোড় এলাকা থেকে শহরের ফকিরপাড়া এলাকার কয়েকজন অপহরণকারী তাকে জোরপূর্বক মোটরসাইকেলে করে তুলে নিয়ে যায়। মোটরসাইকেলে তোলার সময় স্থানীয় কয়েকজন বাধা দিলে তাদের কিলঘুষি ও মারধর করে সাকিবকে নিয়ে চলে যায়। পরে সেখান থেকে অপহরণকারীরা সদর উপজেলার ঝানঝিরার আত্রাই নদীর পশ্চিমপাড়ে কবরস্থানের পাশে একটি টিনের ঘরে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখে এবং ২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে সাকিবের পরিবারের কাছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৪ জনকে আটক করে। বাকি আসামিদের ধরতেও কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম