ঠাকুরগাঁওয়ে দুলাল দাস (৫২) নামের এক ব্যক্তিকে বিবস্ত্র করে নারীর সঙ্গে অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে তা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে চাঁদা দাবির অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গত শনিবার (২১ জুন) রাতে দুলাল দাস ঠাকুরগাঁও সদর থানায় পর্নোগ্রাফি ও চাঁদাবাজির অভিযোগে ১০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৩/৪ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়ের পর অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- জেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য ও আব্দুল মোত্তালেবের ছেলে রতন (২২) টিকিয়া পাড়ার মহল্লার মৃত বাবলুর ছেলে মনির হোসেন (৩২) এহিয়ার ছেলে রুস্তম (২৮)।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- পৌর ৩নং ওয়ার্ড সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আনোয়ার (২৮), জেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য অনিক (২২), ঘোষপাড়া বদিউলের মোড় এলাকার টিপু সুলতানের ছেলে সিয়াম (২৩), আখতারুল (২৭), বাপ্পী (২৯) এনামুল (৩৩) বশির পাড়ার মহল্লার রফিক (২৬)।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৯ সালের ৭ই আগষ্ট দুলাল দাসকে টিকিয়া পাড়াস্থ জনৈক মহিলার বাড়িতে জোরপূর্বক প্রবেশ করিয়ে মহিলার সাথে অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে এক দল চাঁদাবাজ। এসময় তারা ৩০০ টাকার ষ্ট্যাম্পে দুলাল দাসের সাক্ষর নিয়ে ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে দেড় লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়।
পরবর্তীতে কিছু দিন না যেতেই আবারও আনোয়ার, রতন ও তার দল ভিডিও ইন্টারনেটে ছাড়ার ভয় দেখিয়ে দুলাল দাসের কাছে আরও ২লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে মোবাইলে বিরক্ত করতে থাকে। কোনও উপায় না পেয়ে দুলাল দাস ১০ জনের নাম উল্লেখ্য করে আরও ৩/৪ জনকে অজ্ঞাত করে পর্ণগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ও চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেন।
সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভীরুল রহমান জানান, এই ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ তাফসীর