কুড়িগ্রামে ধরলা ও ব্রহ্মপত্রসহ সবকটি নদ নদীর পানি করে বৃদ্ধি পাচ্ছে। শুক্রবার সন্ধ্যা ছয়টায় ধরলা নদীর পানি সেতু পয়েন্টে বেড়ে বিপদসীমার ২১ সে. মি ওপর দিয়ে এবং ব্রহ্মপুত্র নদের পানি চিলমারী পয়েন্টে বেড়ে বিপদসীমার ১৪ সে. মি ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, গত ২৪ ঘন্টায় ধরলা নদীর পানি সেতু পয়েন্টে অস্বাভাবিক বেড়ে বিপদসীমা অতিক্রম করে। পর্যায়ক্রমে ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে বেড়ে বিপদসীমা দুপুর থেকে অতিক্রম করতে শুরু করে। এছাড়াও অন্যান্য নদী তিস্তা, দুধকুমর ও গঙ্গাধরের পানিও বেড়েছে।
এ অবস্থায় নদীর সাড়ে ৪ শতাধিক চরের মানুষ এখন বন্যায় কবলিত হতে যাচ্ছে। নদ-নদী চরের মানুষগুলোর বাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে। ফলে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। পার্শ্ববর্তী উঁচু জায়গায় আশ্রয় নিতে শুরু করেছেন চরের ১০ হাজার মানুষ। পানি বন্দি হয়ে পড়েছে অন্তত ৩০ হাজার মানুষ।
ধরলা নদী পাড়ের শুলকুর বাজার এলাকার বাসিন্দা মোকলেছ মিয়া জানায়, আমাদের গত দুইদিন ধরে ধরলার পানি বাড়ায় বাড়িতে পানি উঠেছে। এখন পরিবার নিয়ে চিন্তায় আছি। পাচগাছি ইউনিয়নের কদমতলা এলকার কৃষক গেদু মিয়া জানায়, ২ বিঘা জমিতে পটল, বেগুন, ঢেড়শ লাগাইছিলাম। সব বন্যার পানিতে ডুবে গেল। পানি না নামলে সব শ্যাষ হয়া যাবে। এদিকে নদীর নিম্নাঞ্চলসমূহ প্লাবিত হয়ে পড়ায় চরের ৩০ হাজার মানুষ পড়েছেন বিপাকে। পানিতে তলিয়ে গেছে নিম্নাঞ্চলের বিভিন্ন ফসল বাদাম, তিল, কাউন, পাটসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি ক্ষেত।
এ অবস্থায় মারাত্মক বন্যার আশংকা করছে সকলে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম জানান, নদনদীর পানি বাড়ছে। ধরলা ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি অনেক বেড়ে বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি আরো বাড়বে বলে তিনি জানান। জেলা প্রশাসক রেজাউল করিম জানান, বন্যা মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন